বাংলার মাটি সবটাই খাঁটি তাই দিয়ে দেহ গড়া
বুকটা আমার বাংলা ভাষার স্নেহ সুধা দিয়ে ভরা ।
বাংলা মায়ের আঁচল মোছায় বেদনার আঁখি জল
সীমানার মানা আমাকে থামায় বলে তুই কে রে বল ।
কী করে বোঝাবো বুকের রক্ত আলাদা কি কভু হয়
ভাইকে আমার কেড়ে নিয়ে তবু এখনও দেখাস ভয় ।
দুঃশাসনের খল কপটতা বাতাসে ছড়ায় বিষ
শ্বাস প্রশ্বাসে আজও যন্ত্রণা তাইতো অহর্নিশ ।
পঙ্কে ফুটেছে পদ্মের ফুল কি করে বোঝাবো আমি
সাঁতার চলে না তবু বলে মন চল সেটা তুলে আনি ।
চলতে চলতে ক্লান্ত হয়েছি থামি নি তবুও আর
এগিয়ে এসেছি সামনে দেখেছি বিস্তৃত কাঁটাতার ।
একিরে আইন একিরে শাসন এর-ই নাম বুঝি দেশ
ভাইয়ের মায়ের স্নেহের বাঁধন হয়ে যাবে বুঝি শেষ ।
ফিরে যেতে যেতে বলে যেতে চাই চেয়ে দেখ কাঁটাতারে
এখনও ঝুলছে ছেলেবেলাকার ছেঁড়া জামা আর তারে
আগলে রেখেছে আমার মায়ের ছেঁড়া আঁচলের স্নেহ
রক্ত মাখানো সেই ভালবাসা মুছতে পারে নি কেহ ।
গীতা ও কোরাণ গাবে সেই গান যে গানে লালন রবি
মিলে মিশে হয় এক নজরুল জীবনের ছায়াছবি ।
নীরবতা শুধু স্বীকৃতি নয় ভুল মানে জানো তুমি
নীরবতা জেনো শত প্রতিবাদী আমার জন্মভূমি
প্রকৃতি যেমন বিশ্ব শাসন করে বিনা ঝংকারে
শত শহিদের নীরব আকুতি আজও ডাকে তাই ওরে
উনিশ একুশ এক সাথে চল নতুন কুঁড়ির খোঁজে
তারাই ফোটাবে নতুন পদ্ম নবীনের উদ্‌যোগে ।
কেটে যাবে ভয় সব সংশয় কাঁটাতার দেবে ছিঁড়ে
ওরাই আনবে নতুন সূর্য নব জীবনের ভোরে ।।