আমারে ছাইড়া যাইওনা প্রিয়।
আমারে ছাইড়া গেলে তোমার ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবার পারে।
আমারে মনে পড়বে কইতাছি না।
তয়, তোমাগো সুখের ঘরটার কোনায় একটা শূন্য পাখি বাসা বাঁধবার পারে। যহন তুমি একলা থাকবা, তহন শুন্য পাখিডা গান গাইবার পারে, কথা কইবার চাইতে পারে। আচমকাই তোমার সাজগোজ,হাঁসি,ফেকাসে হইয়া যাইবো, লিপস্টিক মাখা লাল ঠোঁট কালো হইয়া যাইবো,ফুপাইয়া-ফুপাইয়া কানতে চাইবা, কেউ দেইখা ফেলার ভয়তে কানবার পারবা না। ঢেউক নিতে গেলে,গলায় আটকাইয়া যাইবো,জল গিলতে গেলে, কয়েকটা কাশি ও আসবার পারে।

আমারে ছাইড়া যাইও না।
আমারে ছাইড়া গেলে তোমার দরজায় অবহেলা আসবার পারে।
আমার যত্ন মনে করবার কইতাছি না।
তয়, রাত্তিরে মাইনষের জন্য ভাত বাইড়া মুখের দিকে তাকাইবা, রান্ধনের প্রসংশা শুনবার লাগি, দুই একবার হাতের দিকেও তাকাইবা এক নাল খাওনের লাগি, হয়তো শেষ আশা নিয়া থাকবা, এইবার বুঝি তোমার আঁচলে হাত মুছতে-মুছতে কইবো, মেলা ঝাল লাগছে একটা মিষ্টি দেও, সেটাও হয়তো হইবো না। শেষে, জীবন বাচাইবার জন্য, জ্বরমুখো খাবার খাইতে-খাইতে ভাববা,পাখিডা রাত্তিরে খাইলো কিনা, না খাইলে তো তার ঘুম হয়না।


আমারে ছাইড়া যাইওনা।
আমারে ছাইড়া গেলে তোমার জীবন আউলাইয়া যাইবার পারে। আমারে তুমি খুজবা তাও কইতাছি না।
তয়, গল্প করবার জন্য সারাদিন ধইরা যার জন্য অপেক্ষা করছো, সেই তোমার মাইনষে কুম্ভের মতো ঘুমাইয়া যাইবো, তহন বিছানার এক কোণ থাইকা, পেঁচার মতো চোখ তুইলা,পাখিডার বাসার দিকে তাকাইবা, গলা ছাইড়া ডাকোনের ইচ্ছে হইবো, কেউ শুনে ফেলাইবো ভাইবা মুখ খুলবার পারবা না, চোখের কোনা থাইকা জল গড়াইবো, মুছবার হাত পাইবা না।


হ,তোমার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হইবো, হ, তোমার জীবনখান সাহারার খা,খা মনে হইবো। তুমি ভাববা আমি তোমারে মনে করতাছি। অথচ আমার মনের পূবে-পশ্চিমে কোনো দিকেই তোমারে আর দেহিনা। মনের সেঁতসেঁতে জায়গায় নতুন আলো পইড়া হাসছে,
এই পাগলডা আর তোমারে কোনদিন ও জালাইবে না, আলুথালু কইরা আলোর সাথে সংসার করতে থাকমু। ভুইলা যামু,হ আমি তোমারে কী বিশ্রী ভাবেই না ভুইলা যামু।