অনুভূতি ফিরে এসো এই বাংলায়,
যেও নাকো দূর দেশে ভিন্ন ভাষায়!
অনুভূতি বুকে রাখো এ সভ্যতাকে,
আজীবন সেজে থাকো বাঙালি পোশাকে ।
অনুভূতি ফুটে ওঠো নকশী কাঁথায়,
কারুকাজে রমণীর হাতের ছোঁয়ায়।


অনুভূতি ফিরে এসো বাউল হৃদয়,
দূর তীরে বেজে ওঠা মাঝির গলায়।
অনুভূতি থেকে যাও ভাটিয়ালি গানে,
গম্ভীরা,কবি,ভাদু, ঝুমুর,গাজনে।
বেজে ওঠ কৃষকের কাজের ধারায়,
ধানচাড়া সবুজের শীষের দোলায়।


অনুভূতি ফিরে এসো বৈশাখী মেলায়,
ভয়ে মাখা কিশোরীর নাগর দোলায়।
অনুভূতি তুমি যেন ধুতি পাঞ্জাবি,
তারুণ্য ভেসে ওঠা সে নবীন ছবি।
ফিরে এসো ঘ্রাণ ময় বকুল তলায়,
মালা হয়ে রমনীর চুলের খোঁপায়।


অনুভূতি পাল তোলো জেলের নৌকায় ,
মাছে ভাতে বাঙালির আবেগ পাতায়।
অনুভূতি হেসে ওঠো সোনালী ফসলে,
খামারির আশা ভরা পুকুর,গোয়ালে।
মিশে থাকো কৃষকের ভেজা গামছায়,
ষড়্‌ঋতু মাখা, কৃষাণীর আঙিনায় ।


অনুভূতি ফিরে এসো শিশু কান্নায়,
চাঁদ হয়ে হাঁস তুমি মায়ের ছোঁয়ায় ।
অনুভূতি ফিরে এসো রঙিন শাড়ীতে,
সুর তোল জননীর ঘুম পাড়ানীতে।
অনুভূতি মায়ের সে প্রথম ছড়ায়,
শিক্ষার হাতে খড়ি তালের পাতা‌য়।


অনুভূতি ফিরে এসো শৈশব খেলায়,
কিশোরের ধূলোমাখা বিকেল পাড়ায়।
দল বেঁধে মাছ ধরা নদীর কাদায়,
ফিরে এসো পুকুরের সাঁতার কাটায়।