কবির খুব কাছে এসো না , কবি তোমাকে-
কল্পান্ত হৃদয়ের অভিলাষে, নির্বেদ প্রণয়ের কবিতায়
তৃষ্ণার্ত প্রেমিকের তদাত্ন্য হৃদয় ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে ।
তোমার অশ্রুধারাকে শ্রান্ত কবি গড়ে দিবে
শীতল বিধুর উন্মাদ পানির ফোয়ারা ।
তোমার হাঁসিকে প্লাবন করে সব লুফে নিবে
যেমন লুট তরাজে লিপ্ত মাতাল জলোচ্ছ্বাস ।


তাই, কবির খুব কাছে এসো না , কবি তোমাকে
পূর্ণিমার সুধা দেখাবার ছলে, তোমার নয়ন তারায়
এঁকে দিবে নির্মক্ষিক গ্রহের কোন অচেনা জ্যোৎস্না ।
বেহালার করুণ সূরকে হৃদয়ের গহীনে গর্ত করে
বসিয়ে দিবে, হাহাকার ধ্বনিতে বেজে উঠবে
কবি থাকুক আর না থাকুক – বাজবে ।


কবি তোমাকে আলো দিবে , যে আলোতে আগুন
কবি তোমাকে ছায়া দিবে , যে ছায়ায় অচেনা কুহক ।
ডাহুকের মতো তাকিয়ে থেকে তোমার দৃষ্টিকে
নিলয় করে , চোখের দুই মণিকে কিনে নেবে সস্তায় ।
কবি তার সস্মিত অবয়বে তোমাকে ভাবিয়ে তুলবে ,
হয়ত, হারিয়ে যাবে গহীন অশোক কাননে –
দেখবে আলো ছায়ার সঙ্গমে কবির আলোহিত মুখ ।


কখনও তোমাকে দেখেও শুভ্র মেঘের মতো নির্নিমিখ নয়নে
পাশ কেটে কবি হেঁটে যাবে, ডাকলেও শুনবে না ,
হাত ধরলে প্রব্রাজিত নয়নে দেখবে তোমায় ।


কখনও বলবে না ভালোবাসি , তবু তোমাকে নিয়েই
লিখে যাবে কবির সব অমর কীর্তি, প্রেমের কবিতা ।
তাই, কবির খুব কাছে এসো না, হয়তো-
কবিরা পৃথিবীর অতিথি আর
ভিন্ন গ্রহের মানুষ ।


-মাতাল কবি