সেদিন গোধূলী লগনে-বৃক্ষ থেকে লেবু পাড়ার সময়,
আমার হাতের মধ্যমায় যখন কাঁটা ফুঁটল,
তোমার লাল মুখ ফ্যাকাসে হয়ে-হল বিবর্ণ ।
আমার হাতের মধ্যমা তোমার কোমল হাতে নিয়ে,
আমার কাঁটা ফুটা মধ্যমায়, তুমি করলে গাঢ় চুম্বন।


যেন তুমি এখনি দূর করবে,দেবী হবে-
মুছে দিবে,আমার জীবনের সব ব্যাথা।
হাতের রক্ত যখন থেমে গেল,তোমার মুখের শ্রী এল,
তারপর,তোমার নয়ন বেয়ে সব রাগ পড়ল-
সদ্য বৃক্ষ থেকে পাড়া লেবুতে।


তুমি বাঘিনীর মত থাবা দিয়ে-
আমার হাত থেকে কেড়ে নিলে সে লেবু।
ছুঁড়ে মাড়লে,যত দূরে ছুঁড়ে দেওয়া যায়-
কষ্টকে, ঘৃণাকে, তোমার প্রিয় লেবুটাকে।
আমি তোমার কোমল হাতে,হাত রেখে,
মৃদু হেঁসে বললাম, লেবুর কি দোষ?
তোমার স্বচ্ছ দুনয়ন করুণ করে-
আমায় বললে, খুব লেগেছে বুঝি?


তুমি আজ বহুদূরে,আমার বৃত্তের বাইরে।
তোমায় আজ খুব বলতে ইচ্ছে হয়,
কাঁটার ব্যাথার চেয়ে-আজ বেশি ব্যাথা জাগে,
যখন মনে পড়ে,আমার হাতের মধ্যমায়-
তোমার ভালোবাসা জড়ানো-গাঢ় চুম্বন।
তুমি জানলে হয়ত অবাক হবে-
তোমার ছুঁড়ে ফেলা লেবু-
আমি কুঁড়িয়ে রেখেছি-
যা শুকিয়ে গেছে,এ হৃদয়য়ের মতন।


-মাতাল কবি