একটা প্রায় নতুন উপশহর আমার হলো - যার ঠিক মাঝখানে পেলাম দুইটি বয়সী অর্জুন- একই তিতিরের মায়াবী উদরে যাদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা।


আমি কুমকুমের ছায়া চাইনি, অযথা অবিরত বৃষ্টি চাইনি, পৌরাণিক জ্যোৎস্না চাইনি, শীতকালীন প্রজাপ্রতি চাইনি যাদের গা থেকে শিশির ঝরে, শুধু চেয়েছি নির্জন এক উপশহর।


আমি সাদা বরফের স্বপ্ন দেখিনি, খুঁজিনি মোহগ্রস্ত নীলের আড্রিয়াটিক, মাটি খুড়ে বের করিনি আমার সাতপুরুষের সেগুনকাঠের সিন্দুক-ভগ্নাবশেষ, শুধু চেয়েছি অনিয়মিত পরিধির এক উপশহর।


আমার ছোট মামা- যিনি চব্বিশ বছর বিশুদ্ধ ঘরকুনো জীবনযাপন শেষে এক উপশহরের খোঁজে বেরিয়েছিলেন, যার নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি টানা সাতদিন ছয়রাত মাইকে প্রচারিত হয়েছিলো, যার একটি ভেজা গামছা আমার নানু কখনো শুকোতে দেননি, তিনি আমাকে দিয়ে গিয়েছিলেন উপশহরের স্বপ্ন।


আমি দিনভর পেয়েছি সরিষাফুলের অগ্রন্থিত সৌরভ, রাত জেগে দেখেছি জোনাকির সমন্বিত কোলাহল, এরপর আবার সূর্য ওঠার মুহূর্তে আমার পোষা খরগোশের গুটিগুটি পায়ের শব্দ পেয়ে বুঝেছি - আমার একটা উপশহর চাই।


আমার উপশহরের উপকন্ঠে ঝিলম হৃদ এসে জমা হয়নি, আমি হতে দিইনি। বরং সেখানে আমি রোপন করেছি পীতবর্নের কিছু বাড়ি যাদেরকে চিরকাল ধরে সবুজ করবে বিবিধ কলমিলতা।