তোমাদের অশুভ নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে,
আমি এখন মহা সমুদ্রের ওপারে
দিগন্তের শেষ সীমানায়।
আমি আছি ধূসর সাহারা মরুর বুকে,
তপ্ত বালুকা ঝড়ে সৃষ্ট বালিয়াড়ির
কোন এক উপত্যকায়, বুকফাটা তৃষ্ণায় কান্না রত।
আমি আছি কোন গিরিখাতের অন্ধ শিয়রে,
সাহায্যের জন্য যতই করি চিৎকার,
প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে সে ডাক।
জানি, পৌঁছবে না কোনদিনও তোমাদের কাছে।
আমি আছি সাইবেরিয়ারও পরে,
অজানা এক বরফের দেশে।
আটকা পড়েছি তুষার ঝড়ে,
সূর্যের ঝলসানো আলোর প্রতিফলনে
দৃষ্টিশক্তি নি:শেষ হতে বাকী নেই আর।
মৃত্যুর অতৃপ্ত মহা সুখ যেন,
আমি বরন করছি অহরহ!
এভাবে কোন এক অন্ধ কুঠিরে বদ্ধ থেকে,
আরো কিছুদিন পরে হয়তোবা
বরফে ঢাকা ‘ফসিল’ হয়ে যাবে দেহটা!
যুগ যুগ ধরে আমি এভাবেই পড়ে থাকবো,
‘স্মৃতি চিহ্ন’ বলতে কিছুই থাকবে না অবশেষে।
শত চেষ্টাতেও তোমরা আমাকে খুঁজে পাবে না,
আমি হারাবো অনন্ত অসীম সময়ের কাছে।
তোমাদের দেয়া দু:খগুলো শুধু রেখে গেলাম,
আমার পক্ষ থেকে প্রতিদান স্বরূপ তোমাদের জন্য।
নিয়তির টানে ছিটকে গেছে যে মানুষটি,
অবশেষে হারিয়ে যাবে অন্তহীন অন্তরালে!