পথের পানে চাও হে পথিক দেখো সেথায় কিসের ডর?
এগিয়ে এসে দেখবে সেথায় জ্বলছে তোমার মোকাম ঘর,
চাদের আলোয় লুকিয়ে গেল মেঘের তলে রূপের ফাদে,
চরকা বুড়ি গুন গুনিয়ে হাপড় পিটায় জ্যন্ত মর!
                            ২
জ্যন্ত ঘোড়ার ডিমের খোজে ধরার মাঝে লুকিয়ে পড়!
সাপের ঢেড়ায় ব্যঙের নাতি দিবস রাতি ভজেন হর!
ল্যংড়া ছাগল পাগল গাহে ঝনঝনিয়ে ঝর্ণা বহে,
রঙসাগরে মরমী রহে।পথিক কহে ’রহম কর’
                            ৩
রূপের থালায় আগুন জ্বলে জোনাক জ্বালে আলোর খেল
আসমানে ঐ চাদটা বলে, “নাইড়া মাথায় পড়ছে বেল!
ফাটলো আমার চান্দিখানা সৃজন করলো তিন-মোহনা,
রঙসাগরে মিলল কানা পথিক বলে,’দাইরা দেল’
                            ৪
চুপচুপিয়া সূয্যিমামা গগণকোণে তাকায় ঐ!
পাহস কিরে মৌচাক মাঝে দেখস নারে ছোকরা তুই!
মধুর লোভে যাদুর দাদুর হরিণ স্লেশে পৃথিবী ঘুরে,
বনের মাঝি পথিক আজি যাদুর প্রেমে ঘুমিয়ে রই।
                           ৫
মরমীদানি ঝোলায় পুরে অচীনপুরের রাজার কুমার,
পথিক এসো গভীর ফেড়ে মৃত্যুপুরীর ভয়াল ধুমার;
রাক্ষসেরা জাল বুনেছে, যাদুর ফাদে আটকে গেছে
খকখকিয়ে হাসছে খোড়া, চ্যংড়া বলে, "ধন্য তুমার!"
                           ৬
মায়াবীবন কাদছে কুহু কোকিল ঘুঘুর কান্নাপুরে,
অধমপথিক স্বর্গ খোজে কোথায় তরী? মনপাহাড়ে!
ভেস্তদুয়ার চৌদ্দ ধারায়, ময়াল সাপে চক্ষু হারায়
পথিক ভয়ে হাত পা নাড়ায়, বাচাও কুমার পারাপা।
                          ৭
আলোর বেগে চলছে গাড়ি কেমনে দিবো স্বর্গপাড়ি?
আইস কুমার তরতরিয়ে হনহনিয়ে পিছলে পড়ি,
কুয়োর জলে ডুবে মরলে কালে কালে সোনার কলে,
অতল তলের পথিক বলে "পদ্মজলের তরিক ধরি!"
                           ৮
কলার ভেলায় চড়িয়া পথিক সাত সাগরে তরীক খুজে!
অচীনদেশে ময়নাবেশে মেঘের কোণে চক্ষু বুজে,
দেখলো নিশান রঙের খেলা, হাওয়ায় আদম দুলছে ভেলা
লওহ আরস নকশাঢালা চাদরয়ালার চরকা গুজে!