সময়ের পিছনমূখী যাত্রায়- কল্পনার নৌকা আমার নোঙর ফেলে- আজ হতে শতবর্ষ পূর্বে,
এই দিনের সেই সময়ের এই ক্ষণে ।
বলতে পারি আমি নিশ্চিত মনে-
বাঙালির প্রয়োজনে ইতিহাসই চেয়েছিলো:
পরাধীনতার চৈতালী রোদ্দুরে তৃষ্ণার্ত চাতকের মত স্বাধীনতার শীতল পরশ পেতে উন্মূখ ছিলো-
যে বাংলার জমিন,
যে বাংলার মানুষ,
        সেই বাংলারই এক চিলতে প্রিয় মাটির বুকে, দুরন্ত মধুমতি নদীর কোলঘেষা- শ্যামল মাটির মায়ামাখা টুঙ্গিপাড়া গ্রামে,
        সেই বাংলারই সব মানুষকে মুক্তির বানী শোনাতে, অধিকারের গান শোনাতে-
জন্ম নিক-
ডানপিঠে এক মুজিব!


না আমার পূর্ব প্রজন্ম,
অথবা না আমার উত্তর প্রজন্ম
কেউ দ্বিমত করবে না-
এই দিনের সেই সময়ের আমার কল্পনাচিত্রের!
         সেই সময়ের সব মা,
         সেই সময়ের সব বাবা,
স্বপ্ন দেখতোঃ পলাশীর ডুবন্ত সূর্য উঠবে ফের যদি তাদের কোলে আসে- বীর সূর্য সন্তান!
নিঃসংকোচে ইতিহাস আজ স্বাক্ষী দেয়,
"সায়েরা খাতুন এবং শেখ লুৎফর রহমান"
সেই দম্পতি, সেই সৌভাগ্যবান!
এরপর আমার কল্পনার নৌকাখানি-
উনিশ শত বিশ সালের সতেরো মার্চ থেকে
নোঙর তুলে সামনে এগিয়ে যায় অবিরাম!
স্বাগত হয় আগত সময় মুহুর্মুহু ইতিহাসে-
            সংগ্রামের ইতিহাস,
            স্বাধীনতার ইতিহাস,
            মুক্তির ইতিহাস ।
ব্রিটিশ উপনিবেশ পতন-পূর্ব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা-স্বাধীন বাংলাদেশঃ উন্থান, অভ্যুদয়ের ইতিহাস ।
কর্ম এবং গুনে স্বর্নাক্ষরে লেখা হয় ইতিহাসের পাতায় পাতায়- মুজিব নাম, বারবার মুজিবের নাম ।


আজ তাই, বলি আমি দ্বিধাহীন-
             সেই সময়- এই দিন,
             এই সময়- এই দিন,
            অন্ততকাল- এই দিন,
             শুভ, শুভ, শুভ দিন ।
বলি আমি দ্বিধাহীন- সতেরই মার্চ শুভদিন!
আরও গর্ব করে, আমি বলি উচ্চস্বরে-
"বাঙালির প্রয়োজনে-বিধাতার সেরা দান,
প্রিয় বাংলাদেশ, প্রিয় শেখ মুজিবুর রহমান।"