গভীর নিশিতে আমন্ত্রণ। রাধিকার কুঞ্জবনে। যেতেই হবে- না করার উপায় নেই আজ!
শর্ত দিয়েছে: খালি পায়ে পদব্রজের। চাঁদর জড়িয়ে। পাঞ্জাবী-পাজামা, কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ সমেত।
পুরোই কবি সুরাত কাম্য তার।
আমারতো থাকাই যাবেনা, সেও নাকি পাপড়ির ভাজে- লুকিয়েছে লাজ!
রওনা হলাম। শিরোধার্য নির্দেশ পালনে। রাত নির্জন অথচ অশান্ত মন।
গোপনে ফুলের কাছে যেতে সব ভ্রমরের পরাণ করে দুরু দুরু। আমারও!
শীতে উষ্ণতার প্রয়োজন। উপেক্ষা তাই বাধা বিপত্তি- কামনা সাহসী ভ্রমণ।
মেঠো পথে দূর্বাঘাসে পা ভেজে। পিছলে যায়। কুকুর শিয়ালের ডাক ভয় জাগায়!
তবুও চলছি ....
রাধিকা দুয়ার খুলে রেখেছিলো । কুশল শেষে, জিজ্ঞেস করলো- কবি, প্রেম কি?
বললাম, আমি- তুমি !
উচ্চস্বরে হেসে খিলখিল রাধিকা। এমন শ্লেষাত্মক হাসি আমি আর দেখিনি আগে!
আমি বিব্রত বটে। অপ্রস্তুত ছিলাম- এমন হবে আজ রাত। হায়রে বরাত!
রাধিকা বুঝে ফেলে, হাত ধরে এক হাতে, আরেক হাত কবিব্যাগে, খুজে খুজে বের করে- কলম।
বলে- এটিই প্রেম। এটিই ধারক সভ্যতার। সুন্দর করে গড়ে মানব জনম।
অন্যরকম রাধিকার কপালে আমি চুমু খাই!
পাছে ভয় ভুলে- প্রেম কি বুঝে যাই!
কলমের প্রেমে নতুন কবিতার জন্মদানে- আসলেই পৃথিবীতে আসে ভোর।