শহর থেকে গ্রামে এসে
পড়ন্ত বিকেলে গায়ের পথটি ধরে
হেটে হেটে
পৌছে গেলাম স্কুল মাঠে । বাল্য স্মৃতি এখানে জড়িত আমার ।
হঠ‍াৎ চোখ পড়ল এক গাঁয়ের বধুর দিকে -
কপালে সিঁদুর, চুলগুলো বেণী করা
হাতে শাখা, নীল শাড়ি - অপরূপ ।
আরে এ তো আরতি !
একসাথে স্কুলে পড়তাম, দু গ্রাম পরেই বাড়ি ।
কুশল বিনিময় ‍শেষে শুনলাম
আমাদের অসীম দা'র সাথে বিয়ে হয়েছে
মাস ছয়েক আগে ।পানি নিতে আসছে বলে দেখা ।
বেশ সূখে আছে ওরা ।
আবার কর্মস্থলে
নাগরিক এ সভ্যতায় গ্রামের আর কোন খোঁজ রাখা হয় না ।
একটু ছুটি পেলেই তবে গ্রামে যাওয়া, মুক্ত বায়ুতে ঘোরা ।
দু কি তিন মাস পরে
আবার হাটছিলাম প্রাণপ্রিয় সে মেঠোপথ ধরে
না - আরতির সাথে দেখা হলো না ।
পরে যা শুনলাম তা হৃদয়স্পর্শী
হঠাৎ অসীমের যে কি হলো
ঈশ্বরের ডাকেই সাড়া দিতে হয়েছে
আরতির শত সেবাও কোন কাজে আসেনি ।
এরপরও নাকি অপয়া অপবাদ নিয়ে
বাপের ভিটায় ফেরত যেতে হয়েছে তাকে ।
অসীমের প্রতি ভালোবাসা বা সংসারে অবদানের স্বীকৃতি
এতটুকুই যে তাকে অসীমের সাথে চিতায় পোড়ানো হয়নি ।
আর আমাদের মত সমাজ সচেতনদের কিংবা কুসংস্কার বিরোধীদের
শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা
সুতরাং বাংলা অভিধানে থেকেই যাবে এ শব্দটি ' অপয়া '...