আজ আমি সেই মানবীকে ভেবেই লিখবো-
আমার দু'কানে সীমাহীন স্তব্ধতা পুরে দিয়ে
যে একদিন মিলিয়ে গিয়েছিলো বিরাগের গুহায়
আজ আমি তাকেই নতুন করে ভালোবাসবো।


পাতাঝরার রাগিনীর মতো,
কারও পাষাণ পা'য়ে ঝরে পড়া বকুলের মতো
কতো নিযুত স্বপ্ন হারিয়ে গেলো বহুকাল!
সেসব তোমাদের বলেছিলাম বলেই-
তোমরা আজ আমাকে নির্বোধ বলতে পারো।
তবুও দূরের বাতিঘরে চোখ রেখে
আমি আবার হাতের তালু'য় সমুদ্র আঁকবো।
কারণ আমি দেখেছি,
যে একদিন একেবারেই চলে যায়
সে আসলে তার পুরোটাই রেখে যায়।


তোমরা দ্যাখো-
আমি আজো তাকেই ভাবছি,
এখনো তাকে ভেবেই লিখছি,
আগেকার সমুদয় ভুল পথের হিসেব কষছি,
হিসেব কষছি ক'টা জোয়ারভাটা এতোকাল
পেরিয়ে গ্যাছে হৃৎপিণ্ডের মোহনায়।


তোমরা দ্যাখো-
তাকে আবার ভালোবেসেছি,
আবার সাজানো পুতুলের শৈশব টেনে এনেছি,
প্রিয় আকাশের কাছ থেকে
আমার প্রিয়তম কৈশোর চেয়ে নিয়েছি,
চেয়ে নিয়েছি সেই নির্মোহ শীতকাল
যেখানে শুধুই কুয়াশা আছে;
কোনো বৃষ্টিধারা নেই।


ঘূর্ণমান বৃত্ত-প্রাঙ্গনের বিরুদ্ধ উচ্ছ্বাসের ভিতর
সেই পুরনো পবিত্র উৎসব শুরু হতেই দেখি,
সে চলে গ্যাছে;
সত্যিই চলে গ্যাছে;
একেবারেই চলে গ্যাছে।