নারাণখুড়ো রিটায়ার্ড হবেন ষাটটা বছর পুরালে বয়স,
সে কথা দেহ বেশ জানে সেদিন জানালেন অফিস বস ।
             অবশেষে দিনটি এলো,
          ছাতা,জুতা,ফুল জুটিলো,
প্রাইজগুলো বাঁধিয়া বগলে বাড়িমুখো ধাইলো ।
যাইতে যাইতে ভাবে ঊনচল্লিশটা বছর গেল অফিসের ছাদের তলে,
আজকে তাহা সাঙ্গ হলো পড়ে আইনের যাঁতাকলে ।
     তা না হলে ছিল বাহুতে বল,
    কত ছোকরাকে খাওয়াতুম জল,
দশটা বছর এখনও টানিতাম চোখবুজে আর কব্জিবলে ।।
সাতপাঁচ ভেবে ঘামিতে ঘামিতে খুড়ো এলেন নিজের ঘর,
পি-এফের টাকা পাতেতে পড়িবে গৃহিণীর তাতে সয় না তর ।
       ভাবে বসে খালি আর কি কি নিবে,
      কোন জামাই গরীব কাকে কত দিবে,
পুরো টাকাটাই কব্জা করিতে তৈল মর্দনে পূজেন টাকেশ্বর।। (বড় জামাই)
এদিকে খুড়ো করছে মনোনিবেশ পি-এফের টাকা করিবে এম-আই-এস,
মাসে মাসে তার সর টুকু তুলে গৃহ সুখে তা করিবে নিঃশেষ ।
       পেনশন নামক গুটিকয় টাকা,
     আসিতে না আসিতে হইবে ফাঁকা,
এধার-ওধার জোড়াতালি দিয়ে সংসারঘানি টানিবে বেশ ।।
সহসা আসিয়া শুধান গৃহিণী কত পেলে তুমি পি এফের চিনি ?
কিছু ছাড়ো ঐ চিনির গুঁড়ো বড় জামাইটা রয়েছে ঋণী ।
        মেজ জামাইটার জুয়ার কারবার,
        দেনাতে ভুগে হয়েছে জেরবার,
ছোটর দুবছর হাজত বাসে মলিনবেশে আছে যে মিনি ।।
কমলা সেজেছেন মোর গৃহিণী পড়েছি আমি তার কবলে,
যেটুকু রয়েছে সেটুকুও কাড়িবে শাশুড়ি ধরেছেন তিন ছাগলে ।
      মন বলে তাই আর কেন ভাই,
     সম্বলটুকু দিয়ে ল্যাঠা চুকাই,
চলে যাই কাশী বৃন্দাবনে,ছেঁড়া কাঁথা নিয়ে কাঁধে ও বগলে ।।