মাঠের শ্যামল বুক জুড়ে, ফলেছে সোনালী ধান,
দখিনা মৃদু মলয়ে ভাসে,নবান্নের ঘ্রাণ।
কাঁস্তে হাতে কৃষক হাসে বাঁকা চাঁদের হাসি,
নতুন ধান আসবে ঘরে, স্বপ্ন রাশি রাশি।
বউ ঝিয়েরা ব্যস্ত সবে নতুন উঠোন গড়তে,
কৃষাণীরা কুলোয় তোলে, নতুন ধান ঝারতে।
কেউবা দেখি মাথায় করে,বইছে ধানের আঁটি,
কেউবা আবার গরুর গাড়ি ভরছে পরিপাটি।
বৃদ্ধ গাভী ব্যস্ত আছে, মলন মলার তরে,
দু' এক গোছা কাঁচা আঁটি, খাচ্ছে থাবা মেরে।
বৃদ্ধ দাদী উনুন জ্বেলে, সিদ্ধ করছে ধান,
নয়াবধূ গোমটা এটে, দিচ্ছে সবে পান।
কিশোরীরা মাচায় বসে, রৌদ্রে শুকায় ধান,
গুনগুনিয়ে গাইছে তাঁরা, নবান্নেরই গান।
পাশের বাড়ি ঢেঁকির আওয়াজ, পিঠে হবে বুঝি,
এতো সবের মাঝে ডুবেও,কারে যেন খুঁজি।
এই হেমন্তেও শূন্য এ ঘর, যদি থাকে পড়ে,
চুপিসারে পিঠা পায়েশ,কে খাওয়াবে মোরে?
দাদুর কাছে বায়না ধরে, বলবো চুপিসারে,
এই হেমন্তেই প্রাণোসখি,আনবো আমি ঘরে।


-সংশোধিত