একদিন,
যমদূতের মতো চিবিয়ে খাবো যতসব ভন্ডদের শয়তানি অপশক্তি,
কনডেম সেলের গারদ ভেঙে মুক্ত করব অবরুদ্ধ গনতন্ত্র,
মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে রাইফেল হাতে ছুটে যাব তাগড়া যুবকের মতো,
এ ফ্যাসিবাদী রাজনীতির মুখোশ খুলে ঝাঝরা করব দুর্নীতির বুক।
আবার মতিউর হব,
হব সালাম বরকত রফিক শফিক
মিশিলে ডেকে আনবো তিরিশ লক্ষ তাজা প্রাণ
প্রীতিলতা আর ফুলন দেবী হয়ে আসবে দু'লক্ষ মা বোন
যারা ভেঙে দিবে এ অপশক্তির দৌরাত্ব,
ভেঙে দিবে সংসদ সংবিধান সুপ্রিমকোর্টের দুর্বোধ্য নীতি,
যেখানে ন্যায় বিচারের বাণী অস্বচ্ছ কাঁচের দেয়ালের ওপাশে কাঁদে,
যেখানে কসাইখানার মতো জবাই হয় স্বাধীনতার চেতনা
যেখানে মতি মিয়ার মতো রিকশাচালক পায়না,
তার অষ্টাদশী  ধর্ষিতা কন্যার সুবিচার,
যেখানে পালা বদলের রঙ ছিটাছিটি চলে যুগের পর যুগ,
কিন্তু বদল হয়না  সাধারণ মানুষকে ভাগ্য।
শুধু খোলস পাল্টিয়ে যায় বিষাক্ত সাপের মতো,
জনতা এখন বুঝতে শিখেছে, খোলসবদ্ধ বিষাক্ত সাপ খোলস এড়িয়ে আরো বিষাক্ত হয়।


কি হবে এসব রঙিন দালানে নতুন সভ্যতা গড়ে?
যেখানে অসভ্য বর্বর মনুষ্যত্বহীন পশুদের বসবাস,
যেখানে জনতার রক্তশুষা জোঁকের কিলকিল করে বেড়ে ওঠা অবাধ বিচরণ।
যেখানে ধর্ষকের বিচার নেই,
যেখানে অপবাদ শুনে শুনে  শুধুই ধর্ষিতার গলায় ফাঁসি।
যেখানে ভার্সিটির মদের আড্ডায় বেড়ে উঠে সোনার ছেলেরা,
পিস্তল চাপাতি দা বটি
যেখানে নিত্য শিক্ষার উপকরণ !
যেখানে  সত্য বলতে মানা,
যেখানে ন্যায়ের মিশিলে যেতে মানা,
যেখানে গণতন্ত্রের নামে চলছে একনায়কতন্ত্রের রমরমা দেহব্যবসা,
সেখানে কিইবা হবে, সামান্য উন্নয়নের প্রসাধনী মেখে চাকচিক্য থেকে ?


এখানে প্রতিদিন টর্চারসেলে ইন্টারোগেশন অথবা এনকাউন্টারে এ মারা পড়ে কতই না নীরহ যুবক,
মিথ্যা অপবাদ গায়ে মেখে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পড়ে মর্গে।
সমাজ কখনোই জানতে চায় না সঠিক ইতিহাস,
শুধু ভন্ডরাই কপালে চোখ উঠায়,
সমাজ আবারও চলে ভন্ডদের নিয়মেই।


না না না,
আমি চাইনা ওসব মেকি সভ্যতার দৌরাত্ব।
তারচে বরং,
আমি অনাহারী,
আমাকে দুমুঠো ভাত দাও
হোক তা লবণ ছাড়া পান্তা।
আমি বস্ত্রহীন,
আমাকে বস্ত্র দাও
হোক তা ছিঁন্ন জরাজীর্ণ।
আমি অসুস্থ,
আমাকে চিকিৎসা দাও
হোক তা প্রাচীন অথবা অর্বাচীন।
তবুও দাও,
আমাকে বাঁচাও
আমাকে বাঁচাও
আমাকে বাঁচাও।
জানি শুনবে না এসব কথা
জানি বুঝবে না দুখীর ব্যথা
জানি সবকিছু চলে যাবে স্বার্থের দখলে
জানি সবকিছুই লুটাবে ভন্ডের করতলে।


যদি ভালো কথা বলি,
জানি শুনবে না-
যদি সত্য কথা বলি,
জানি মানবে না-
যদি ন্যায়ের পথে ডাকি,
জানি আসবে না,
জানি তোমাদের মস্তিষ্ক  এখন ভন্ডের কারখানা।


ভন্ড মাজারপুজারী যতসব হুশিয়ার
সাধুর লেবাসদারী ভন্ড ফতোয়াজ পীর হুশিয়ার
শিশুর কোমল মনে পর্ণগ্রাফির বিষ ঢালা ভন্ড শিক্ষক হুশিয়ার,
সমাজের মোড়ল সেজে অবিচারকারী ভন্ড হুশিয়ার
জনতার রক্তশুষে প্রাসাদ গড়া মুখোশধারী নেতা
হুশিয়ার
হুশিয়ার
হুশিয়ার।


আমি আসবো,
নতুনত্বের তান্ডব হয়ে
নবীন প্রবীণ তাগড়া যুবককে বুকের ভেতর চেপে রাখা ন্যায়বাদী প্রতিবাদের আত্মোস্ফোরণ নিয়ে,
আমি আসবো,
সামান্য ডাল ভাতের অভাবে পেটের সাথে পিঠ লেপ্টে যারা ঘুমিয়ে গিয়েছিল,
তাদের মিছিল নিয়ে,
আমি আসবো,
শ্রমিক মজুরের ঘামে ভেজা বুকের পাটা হয়ে,
আমি আসবো,
পদ্মা মেঘনা যমুনা একাকার করে স্বাধীনচেতা বাঙালির বিক্ষোব্ধ বিস্ফোরিত অশ্রুসুনামী হয়ে,
ধুয়ে মুছে নিতে সকল অন্যায় অবিচার জুলুম।
আমি আসবো,
ঠিক আসবো,
বিলুপ্ত হলেও আসবো,
কোন একদিন,
যমদূতের মতো চিবিয়ে খেতে, যতসব ভন্ডদের শয়তানি অপশক্তি।


-