আমায় দুটি পাখনা দেবে কেউ ?
আবেগী পালক ভরা ভালবাসার গাঢ় নীল পাখনা।
দেবে?
ভাবনার অসীম নীলাকাশে আবার একটু উড়বো মুক্ত মনে
ক্লান্ত দুপুরে একগুঁয়ে ডেকে যাব নীল-কান-বসন্তবৌরি পাখির মতো।
শঙ্খচিল হয়ে উড়ব মেঘ চুমে চুমে
দেবে?
দেবে কি আমায় এ জড়তার শিকল ছিঁড়ে?
কতো বসন্তে উড়েছি কতো ফুলে ফুলে,
জীর্ণলতা আঁকড়ে ধরেছে এখন আমায়,
বিদ্রোহী দুর্বার ডানায়  বেড়েছে উঁই পোকার রাজত্ব।
আবেগের পালক গুলোও খষে গেছে ঝরে যাওয়া গোলাপ পাপড়ির মতো।
বড্ড বেখেয়ালে মুখ থুবড়ে পড়ে আছি মরু বালিঝড়ে।
জানো?
আমার একটা আকাশ ছিল,
নির্ভেজাল ভাবনার শারতি আকাশ।
যাতে ছিলনা  বিষণ্নতার কালোমেঘ বিরহী ঝড়ো পবন,
কোমল ডানায় উড়িবার মুক্ত আকাশ।
আমি প্রাণ খুলে উড়েছি ভোর হতে সন্ধ্যা শিকল ছেঁড়া পাখিদের দলে  মিশে
ক্লান্তির শ্লেষ জমে জমে কবে যে মরচে ধরেছে প্রোজ্জ্বল শশী সবিতা
আর মচমচে তারকাপুঞ্জ,
তার হিসেব  মুছে গেছে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে।
আজ দুরাশার মেঘে ঢাকা বিদঘুটে অন্ধকারে
স্বপ্নগুলো মতিভ্রমে।
দেবে কি  কোমল ভালবাসাময় দুটি পাখনা?
বাবুই পাখি হয়ে উড়ে উড়ে বুনন করব তোমার ভুবন
বিশ্বাস করো, আপাতত নায়াগ্রার মতো কাঁদতে হবে না আজীবন।


-সংশোধিত