অতঃপর,
দধিচীর বজ্রও পরাভূত,নির্মল প্রণয়রাজ্য বিরহী অসুর গ্রাসে।
হৃদসরোবরে তুমি মেকি সরসিজ
অর্ষমার ক্ষীণ রৌদ্র মেখে খুঁজে বেড়াই বিলুপ্ত কিরীট।
ভাবনার গুন্ম পূর্বজন্ম যাচে গহীন গহন দ্রূমে
তোমার শেষ চুম্বন,
ব্লাকমাম্বার বিষ হয়ে দৌরাত্ম্য গড়েছে হিয়ার নক্ষত্রে।


আবেগী স্মৃতিপট লেংদুদের মতো চিবিয়ে খাচ্ছে,
কঁচ্চত দেহাংশ।
স্মৃতির নিঃসীম বারীন্দ্রতটে মোহাচ্ছন্ন আলেয়ায়
এই তুমি আদৌ সেই তুমি নয়।


কালের উপল ধসে ছিঁড়েছে তোমার ষোড়শী ঊর্ণলাভ
শুভ্র সূচি বদনে আজ প্রলয় নিত্যমগ্ন ছোঁপ ছোঁপ কৃষ্ণ কাদম্ব।
সৌঢল স্তন নিতম্বযূগলে নিত্য হায়েনার বিচরণ
সুদীঘল কুন্তলে নব্য সভ্যতার আঁচড়
চঞ্চুর রাজ্য ছিঁড়ে খায় বুভূক্ষু গৃধর
স্বেচ্ছায় স্বযতনে সভ্যতার অন্তে করে চলেছো আমৃত্যু নীলচাষ,
আমি আজ নীলদ্রোহী তিতুমীর।


তুমি আজ ভুলেছো প্রণয় ম্যাগনাকার্টা,
বিসুভিয়াসের ধুম্রকলি আমার শহরে।
শানিত আবেগী অভীপ্রায় আজ রণাহত তুরঙ্গ
মারিয়ানার অতলে ডুবেও আমি যেন এক তৃষ্ণার্ত প্রণয় চাতক।
অক্ষির তপ্ত প্রস্রবণ ডুবিয়েছে প্রক্সিমার প্রসস্থতা
কালের জীর্ণতা চুমেছে অমাবস্যার অধর
তুমি আজ ভুলেছো আমায় ভুলেছো মাখামাখি আদর।


স্বেচ্ছায় পেরিয়েছো লক্ষণরেখা
প্রণয় প্রসূন পদে দলে হয়েছো রাবন সহচর
তবে কি তুমি সীতা ছিলে না ?
আজ কেটে গেছে কুম্ভকর্ণের মহাতন্দ্রা, খুলে গেছে আবেগী আলখল্লা,
কালের যতনা বুকে চেপে ধসে গেছে প্রণয় নক্ষত্র,
গড়েছে এক অনন্ত বিরহী ব্লাকহোল।
    
              ---


(সংশোধিত )