মাগো তোর ছেলের আর ছুটি হয় না !
অত্যাচারীর শিকল ছিড়ব বলে সেদিন লুটিয়ে ছিলেম ধূলোয়,
ভিজিয়ে রাজপথ রক্তগঙ্গায়।
কতদিন হল তোর থালার ভাত কেঁড়ে খাই না !
বৃদ্ধ বাবাটা কেমন আছে?
সেদিন ভার্সিটিতে আসার সময়, আবছা আবছা ছোখে খুব কাছ থেকে দেখেছিল আমায়।
চশমার একটি পা ভাঙা ছিল।
ফ্রেমের সাথে সুঁতো লাগিয়ে অপর পায়ের প্রান্তে বেঁধে কোনো রকমে পড়তো।
সেদিন  বলেছিল "বাজান আমায় একডা চশমা আইনা দিবি"।
নিজের অসহায়ত্ব ঢেকে লুকিয়ে কেঁদে ছিলাম।
মাগো, একটা চকচকে চশমা কিনেছি বাবার জন্য,
কিন্তু ওরা আমায় ছুটি দেয়না
ওরা বলে, মোরা শহীদ মিনার !


না না, মোরা তেজস্ক্রিয় মাতুন্ড।
শোষণের কালো হাত দিয়ে স্পর্শিতে এসো না,
কেঁড়ে নিতে এসো না বাংলা ভাষা,
তবে এ শিঁকল ছিঁড়ে, আবার আসবো,
আবার লড়বো,
বীরদর্পে মরবো,
মোরা মরতে শিখেছি,
হারতে নয়।
তবুও আজও কাঁদি, চেপে রেখে দীর্ঘশ্বাস,
ছুটি হয়না।
ফুল দিয়ে ঘিরে দেয় সবে,
মুক্তি মেলে না।
চেতনার যে বেণু বাজিয়ে চলি অহর্নিশ,
হয়ত যদি কেউ শ্রব তা,
তবে দেশের তরে লড়ো,
দশের তরে মরো,
যদি জ্বলে উঠে ন্যায়ের দীপ্ত প্রদীপ,
টুটে যায় শোষণ দুর্নীতি,
তবেই হয়ত ছুটি মিলবে একদিন,
বাংলা মায়ের পবিত্র আঁচল তলে ঘুমাবো,
চির প্রশান্তির এক ঘুম।