ফিরে আসবি বলে তুই,
কতকাল অবধি নির্লিপ্ত হিয়া, দেদীপ্য যৌবন ইন্দ্রস্পর্শী গ্রাসে,
জাগরূক অক্ষির প্রান্ত জুড়ে তপ্ত লহুর বিচরণ,
জীবন সায়রে নোঙর ফেলেছে গুপ্ত শমন তরী,
চলে যেতে হবে তমস্র গন্তব্যে।


সেই কবে,
ডাগর লোচনে প্রণয়নাদে চুমেছিলি ভাবনার অমলইন্দু,
শ্বাদল প্রান্তে গড়েছিলি অর্ণব পুলিন।
আমি আজও নিয়তির চোরাবালিতেই বসে আছি
সেই বিরান প্রান্তরে।


ফিরে আসবি বলে তুই,
বুকের গহিনে অলক্তমাখা পদ ফেলে, তোকে নিয়ে কালের প্রণয় গহ্বরে লুকানোর আয়োজন।
ফিরে আয় সখি,
সম্পর্কের ছায়াপথ ভেঙে আর একবার মাতি প্রণয়োল্লাসে,
আবেগের বিষদন্ত্যে কাঁমড়িয়ে ছিঁড়ি নিয়তির শিকল,
পৃথ্বীর মোহাচ্ছন্ন অভিকর্ষ টুটি,
শুকনো তুলার মতো উড়ি নক্ষত্র হতে নক্ষত্রান্তে।


বাউড়িপবনে চুরে যাওয়া বিহগ নীড়ের মতো,
গুঁড়িয়ে দিই আজন্ম ঊর্ণলাভ।
ফিরে আয় সখি ফিরে আয়,
সিথানে নক্ষত্র পেতে আর একবার তন্দ্রা যাই ত্রিবেণীর ঘাটে।


---


{2018 সালে যৌথ কাব্যগ্রন্থ "জলতরঙ্গে কাব্যভেলা"-এপ্রকাশিত।}


(সংশোধিত )