ছোট্র  পাখি টুনটুনি,
     গান শুনাবে কি?
এ দেখোনা তোমার জন্যে,
     পায়েশ রেঁধেছি।


গান শুনালে পায়েশ দিবো,
     নাচলে দিবো পিঠে,
টুকটুকে রং লাগিয়ে দিবো,
      তোমার দুটি ঠোঁটে।


ওগো আমার খুকুমনি,
     করিওনা আড়ি,
আজকে যাচ্ছি  বাপের বাড়ি,
    পরে নতুন শাড়ি।


রঙিন  ঠোঁটে  টিঁয়ে ভাই,
   গান শুনাবে কি?
এই দেখোনা  তোমার জন্যে,
     পায়েশ  রেঁধেছি।


গান শুনালে পায়েশ  দিবো,
      নাচলে দিবো পিঠে,
মাথায়  ঝুঁটি বেধে দিবো,
      লাল ফিতাটি কেঁটে।


ওরে আমার খুকুমনি,
     ওরে আমার প্রিয়ে,
সাজঁতে যাচ্ছি  পার্লারেতে,
     কাল যে আমার বিয়ে।


খুকু পায়েশ রাঁধে,
  আর কাঁদে।


ছোট্র  মাটির ঘটিতে রেখে,
    একমুঠো চাল,
ছোট্র  চুলায় আগুন জ্বেলে,
    দিচ্ছে  তাতে জ্বাল।


এদিক ওদিক উঁকিঝুকি,
হঠাৎ দেখে চঁড়ুই পাখি।


চঁড়ুই  পাখি , চঁড়ুই  পাখি,
     গান শুনাবে কি?
এই দেখোনা তোমার জন্যে,
     পায়েশ রেঁধেছি।


গান শুনালে পায়েশ দিবো,
     নাচলে দিবো পিঠে,
তোমার নামে লিখে দিবো,
     বাপের  বাড়ি ভিটে।


চঁড়ুই বলে ব্যস্ততা আমি,
    খুঁজিতেছি খড়,
ওই দালানের কোণে আমার,
    বাধঁতে হবে ঘর।


খুকু পায়েশ  রাঁধে,
আর কাঁদে।


এমুনি খুকু জেদ ধরে,
    করলো অভিমান,
রাঁধবে আর পায়েশ  সে যে,
     শুনবেনা আর গান।


খুকুমনির কান্না শুনে,
ময়না এলো, চঁড়ুই  এলো,
      এলো বাবুই টিঁয়ে,
সবাই তারা মহাখুশি,
       খুকুর পায়েশ খেয়ে।


নাচলো শালিক, বাবুই, টিঁয়ে,
      ময়না গাইলো গান,
নেচে গেয়ে ভাঙালো তারা,
      খুকুর অভিমান।


   ''''''''যবণিকা ''''''
রচনাকালঃ০৯/০৮/২০০৭ ইং


বিঃদ্রঃ স্কলারশিপ  আবৃতি প্রতিযোগীতায় একাধিক বার পুরস্কার প্রাপ্ত শিশুতোষ কবিতা।)