দিনমণি অস্ত যায়, পড়ন্ত এ সাঁঝের ক্ষণে,
       উৎসন্ন মনে, বিষণ্নতায় ভরে,
       অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি,
রক্তিম দিনমণির,  অন্তিম আভার পানে।
      বংশাইয়ের জল শুকিয়ে গেছে,
          তীরে তীরে জেগেছে চর।
ঘাটে বাঁধা নৌকায়, বসে আছি আনমনে,
           ক্ষীণস্রোতে ভেসে যায়,
              কচুরীপানার গুচ্ছ ।
রক্তিম লালিমায় উড়ুউড়ি খেলে গাঙচিল
            নদীর জলে, গা ধুঁয়ে
            ক্লান্তিমুছে নেয় মাঝি,
        ঝিমিয়ে  সাদা বলাকার দল,
ঝিনুক কু্ঁড়িয়ে ঘরে ফেরে বালিকারা ।
      ঘরে ফেরা বিহগগুলো ব্যস্ততা,
        বাঁশঝারে অবিরাম কলরব,
দিনভর অবিরাম জ্বলে জ্বলে ক্লান্ত তপন
            ফ্যাকাসে হয়ে এলো,
     রক্তমাখা গোলক যেন এক ।
ব্যথাতুর বিষণ্নমনে, অপলক নয়নে হেরি,
           সাঁঝের রক্তিম গোলক।
     অস্তগামী ভানুর রক্তিম আভায়,
  ভেসে উঠলো, হারানো প্রিয়ার ধূসর          
                   বদনখানি !
      হস্ত নেড়ে যেন ডাকছে আমায়,
আর অনুশোচনার স্বরে বলছে মোরে,
    " ওহে কবি বড্ড ভুল করেছি,
    তোমায় বিষণ্ণতা  উপহার দিয়ে"।
     চেয়ে দেখো,আমিও সুখে নেই,
  রক্তিম সূর্যের ন্যায়, আমিও জ্বলছি
                  অবিরাম ।
                        
                        যবণিকা
রচনাকালঃ২৮/০১/২০১৫  ইং


বিঃদ্রঃ বংশাই নদীটি আমার ছেলেবেলার খেলার সাথী।