কঁচি কিশলয় শিশুদের,সুশ্রি শশী বদন,
একবার হেরিলেই, ভরে যায় মন ।
কোমলমতি বদনে, নির্মল হাসি,
তাহা হেরি লাজে মরে, দূর গগণের শশী।


মৃত্তিকার গর্ভে ওরা যেন,কেবল সুপ্ত বীজ,
ওরা ভেদিয়া ওঠিবে,অতল মৃত্তিকার সুতল নীচ।
ওরা অগ্নিদগ্ধ ধরায়, সুশীতল পবন,
নব সভ্যতার অগ্রদূত , নবরূপে গড়বে ত্রিভূবণ ।


ওরা অন্ধকারাচ্ছন্ন ধরায়, প্রভাতের অরুণ,
ওরা অন্যায়গ্রাসী স্বপ্ন, ন্যায়ের মহাতোরণ।
ওরাই হবে সাম্যবাদী, সত্যের অবিনাশী গান,
দুর্দিনে হবে সভ্যতার মিত্র, দুর্নীতি করবে অবসান।


ওরা দুূর্গম পথে, অপরাজিত বীর সৈনিক,
ওরা অসীম দুঃসাহসীক,গগণভেদি বৈমানিক।
ওরা ঘুড়বে নক্ষত্রপুঞ্জ, স্রষ্টার সব সৃষ্টি,
টুটে আনবে অজ্ঞাত জ্ঞানধন, অসীম ওদের দৃষ্টি ।


ওরা দোদুল্যমান ন্যায়ের দোপাটি,
সদা নির্ভীক,হেরি অন্যায়ের রক্তিম ভ্রুকুটি ।
ওরা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি,গুপ্ত প্রতিভার আঁধার,
ওরা নির্বিশঙ্কে পাড়ি দিবে, প্রতিকূল পারাবার।


ওরা মানব কল্যাণে, অটল অভিযাত্রী,
ওদের তরে পুষ্পে পুষ্পে, সাজবে ধরিত্রী।
ওরা আদিত্যের মতো তেজীয়ান, সৌদামিনীর ক্ষিপ্রতর,
ওরা দুষ্পরাভূত ঝঞ্ঝা, অবিনাশী উত্থান চির কল্যাণকর।


ওরাই হবে জাতির কর্ণধার, নির্ভীক নির্ভয়,
দীপ্ত চেতনায় গরবো ওদের,
এ মোর দৃঢ় প্রত্যায় ।।


                  যবণিকা
রচনাকালঃ২১ /১২/২০১৩ ইং