পূরিতে বৈভব খায়েস, মৃত্তিকার লালসা,
রুধিতে স্বাধীন চেতনা,
সেদিন প্লাবন হয়েছিল,
রক্তপ্লাবন।
ধ্বংসিতে চেতনার অঙ্কুরিত ভ্রুণ,
মেতেছিল রাবন খেলায়,
পৈচাশিক গৃধিনী, পাক জানোয়ার।
অন্যায়ের লেলিহান চঞ্চু,
মেতেছিল সতী হননে।
প্রজ্জ্বলিত ছিল দিবস তপন,
নিয়াবাস নির্বিশঙ্ক ছিল ভাবনার গগন।
কে জানতো ?
সহসা ঝঞ্ঝার তীক্ষ্ণ শিলা বিধ্বস্ত হবে,
পক্ক ফসল।
ক্লান্ত শ্রান্ত নীরহ তনুখানি,
লেপ্টেছিল আপন আলয়ে,
পরম প্রশান্তির তন্দ্রায়।
জমকালো গভীর নিশীথে,
ওরা এসেছিল বাঙালির ভেলা ডুবাতে।
মুহূর্মুহূ কামানাঘাতে, ঝাঁঝরা দুগ্ধের শিশু !
অবলার সম্ভ্রম হনন,
প্রকম্পিত ধরিত্রী ।
ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘুড়েছিল সে রাত্রে,
ছাত্র, শিক্ষক, জনতার লাশে
পূর্ববঙ্গ যেন মহামর্গ !
বিবস্ত্রা অবলার লাশের ওপর,
খেলেছিল পৈশাচিক ভাদর নৃত্য।
ওরা মেতেছিল মেধাশূন্যের নৃশংস হোলি খেলায়।
কি দোষ ছিল ওদের ?
ওরে পিশাচ ইয়াহিয়া,
ভাগাড়ের ময়লা খেকু শকুন,
ওরে কাপুষ, ওরে জারযের দল,
কি কসুর ছিল দুগ্ধের শিশুর বল ?
তব নির্দেশে সূচিত "অপারেশন সার্চ লাইট "
কালের কালো ইতিহাস।
সেদিন শুধু ভাঙ্গিসনি, একটি শহীদ মিনার,
ভেঙ্গেছিলি সহস্র নিরীহ মন,
কেঁড়েছিলি অজস্র নিরীহ জীবন ।
ওরে কাপুরুষের দল,
সম্মুখ সমরে এলিনা কেন ?
বাংলার দামাল, তোদের চিঁড়ে খেতো।
যদিও আমরা স্বাধীন, হৃদয়ে তবুও বাজে,
সেই বেদনার্ত বীণ,
ভুলিনী সেই দুঃসহ্য বেদন,
ভুলিনী সেই রক্তপ্লাবন।
    -------০-------
রচনাকালঃ২৫/০৩/২০১৫ ইং