জানি তুমি;
কুজ্ঝটিকার নীলকান্তমণিহার কন্ঠে লয়ে,
অনবরত তুষার বর্ষণে,
এ হিয়ের প'রে চেপে দিয়েছো,
হিমের হিমালয় ।
দুরন্ত হিয়া সুতীব্র হিমাঘাতে,
স্পন্দনহীন স্তব্ধ,
ম্রীয়মাণ দৃষ্টিহীন অক্ষিতে শুধুই,
বরফ গলন্ত নির্ঝর।
কর্ণে তুষার বর্ষণ সুর,
তবুও শ্রবি,
তুমি সুখে নেই।
তুমি যদি চাও এখনও,
সুতীব্র চেতনার অনল জ্বেলে,
ভস্মিভূত করে দিবো, সহস্র হিমালয় !
নিয়তির সকল শিকল,কাঁমড়ে ছিঁড়ে,
চীনের প্রাচীর চূর্ণ করে,
অবরুদ্ধ ট্রয় ভেদি, ছিনিয়ে আনবো তোমায়,
হেলেনের মতো ।
জ্বালিয়ে পু্ঁড়িয়ে ধ্বংসযজ্ঞে মেতে,
সূচিত করিবো, চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ !
লাথি মেরে চূূ্র্ণ করিবো,
পিরামিডিয় প্রাচীর !
তুমি যে চিরস্থায়ী আমারি ।
হও তুমি সহস্রজনের মেনে নেবো,
ক্ষণিক কষ্ট পাও,
মেনে নেবো না।
যত নিন্দুকের নিন্দিত নিনাদ,
সইবো আমি,
তোমায় সইতে দেবো না ।
আমি অনন্ত যৌবনা থাকিবো, তোমারি তরে,
আমি যে আজন্ম তোমারি,
আমারি তরে, তুমি আজন্ম কুমারী ,
যত পারো দাও, ত্রিলোকের বিষাদ নিনাদ,
তবুও তুমি চির আমারি।


           --------০---------
রচনাকালঃ ১২/০৩/২০১৫  ইং