হিমালয়ের তলদেশে চেপে রেখে দিবো,
সকল উতপ্ত যন্ত্রণা, অনন্তকালের তরে,
কেউ জানবে না কোনদিন।
হিম শীতল পিচ্ছিল গহ্বরে,
চিরায়াত অবরুদ্ধতায়,
সাজিঁয়ে নিয়ে যন্ত্রণা সভ্যতা।
ভাবছি, তোমার শোকে আর কাঁদবো না,
যন্ত্রণার গায়েই মেখে দিবো,সকল কান্না।
হিমালয়ের বুক চিড়ে নির্ঝর ধারায়,
বয়ে যাবে তারা অহর্নিশি।
তোমার সুখে আর হাসবো না,
সকল হাসির সমাধি দিবো, উতপ্ত তপনে,
সে জ্বলবে আর হাসবে।
যাও প্রিয়ে,যতদূর ইচ্ছে উড়ে যাও,
দিগন্ত হতে নীল গগণে,
আমার অবরুদ্ধ পিঞ্জির, ধসে গেছে,
যাও, যত ইচ্ছে যাও।
যতদূর।
তোমার ললাটের প্রমো সিঁদুর,
তুলসীর জলে ধুয়ে দিয়েছি,
মুছে নিয়েছি ভাবনার অলক্ত।
ছলনার তপ্ত অশ্রু আর ঝরাতে এসো না,
যাও যতদূর,
ইচ্ছে ডানা মুক্ত তোমার।
হৃদপিন্ডটা পুঁতে দিলাম,
ভালবাসার সমাধিতে।
অনুভূতিহীন বৈরাগী তনু,উপহার দিলাম অরণ্যকে।
যেথা সুখ সেথা যাও,
কভু যদি মনেপড়ে মোরে,
চেয়ে দেখো, হিমালয়ের পানে,
যদি না পাও,
তবে দেখো, দূর অরণ্য উড়ন্ত মোর,
বৈরাগী প্রতিচ্ছবি।


যবণিকা
রচনাকালঃ২১/০৪/২০১৫ ইং