তোমার নিলয়ে দখিন বতায়নের পাশে,
ঝোঁপের মত লিচু গাছটা,
এখনও আছে।
গভীর নিশীথে নিশাচরের মত,
চুপিচাপি --সন্তুপর্ণে,
গিয়েছি কতো।
ঘন ডালা আর ঝোঁপের প'রে বসে,
ধুঁকু ধঁকু হৃদে,
ডাকিতাম শিসে।
বতায়ন খুলে তুমি,গ্রিলটি ধরে,
ওড়নাটি উড়িয়ে দিতে,
আমার তরে।
বাহিরে জোনাক জ্বলে প্রবল অন্ধকার,
উতালা হৃদয় পরশ পেতে,
রুদ্ধ সকল দ্বার।
বহুকষ্টে নড়েচড়ে ওড়নাটি ধরে,
দু' জনই চুমো দিতেম,
দু'প্রান্তের প'রে।
হাত বাড়িয়ে পরশ পেতে, আসতাম কাছাকাছি,
হৃদপিন্ডটা থমকে দিতো,
তোমার বাবার হাঁচি।
কতদিনই যে ডাল ভেঙে, পরেছি লিচু তলে,
চোর ভেবে তাড়া খেয়েছি,
চুবেছি ডোবার জলে।
কতো কথা কতো স্মৃতি কতো মাখামাখি,
অবরুদ্ধ প্রাচীর গড়ে,
রেখেছো তা ঢাকি।
সেই পবিত্র ভালবাসা, পর্বত চাপা দিয়ে,
নব সুখে মত্ত আছো,
নব সঙ্গী নিয়ে।
------০------