শোষণের উদর ফেঁড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সেদিন,
রক্তাক্ত এক যুবক!
বাহান্নের রক্তঝরা ফাগুনে জন্মেছিল যার ভ্রূণ।
অতঃপর, ছাপ্পান্ন বাষট্টি ছেষট্টি ঊনসত্তর,
একাত্তুরে ভূমিষ্ঠ তাগড়া যুবক।


এক সাগর উষ্ণ রক্তের স্রোতধারা,
অন্তঃস্বত্তা মায়ের উদরে বুটের প্রহার,
বৃদ্ধ পিতার শাশ্রুধরে হিঁচানো,
কুমারী বোনের সতীত্ব হননের বীভৎস দৃশ্য,
নিরীহের বক্ষে নির্বিচারে গুলি,
আবালবৃদ্ধবণিতার সম্ভ্রম ক্রন্দনরোল,
আর বাঙালি জাতির স্বপ্নপোড়ার গন্ধ শুকে শুকে
জেগেছিল সেই বিদ্রোহী যুবক,
অন্যায় অত্যাচার শোষণ গলঃবধ করে।
বাংলার মুক্তপবন, শ্যামলীমা মায়ের কোমল কোল,
মাঠ ঘাট অরণ্য,
মুখে দিয়েছিল তারে সোনার চামিচ বিজয়ের উল্লাসে।
যাকে বুকে লয়ে স্তব্ধ হয়েছিল বৃদ্ধামাতার ক্রন্দন,
পঙ্গু পিতার দুঃষহ যাতনা,
সম্ভ্রমহারা বোনের বিমর্ষতা।


বাংলা মায়ের বুক হতে ফের কেঁড়ে নিতে চায় তাকে,
ওরা কারা ?
পদে পদে ফের আদি ইতিহাস,
শোষণ বঞ্চনা অন্যায় অবিচার।
আহত মায়ের বুকে ফের পুরানো হায়েনার আঁচড়।
হে রক্তাক্ত যুবক,
হুংকারে হুংকারে প্রকম্পিত করো বিশ্ব,
জানিয়ে দাও আমরা নই এখন আর নিঃস্ব।
বাঙালি বীরের জাতি,
সহস্রবার ন্যায়ের তরে লড়বে মরবে, কিঞ্চিত নেই ক্ষতি।


- সংশোধিত