ত্রিযামার নিস্তব্ধ ত্রিপ্ররে,
প্রাত্যহিক ব্যস্ততা গলঃবধ অন্তে ক্লান্ত এ শহর।
সীমন্তনীর ইন্দ্রালয়ে নর মাখামখি,
ষোড়শিনীর কুমারী প্রাচীরভেদি ছুটে চলে আবেগী শর,
বাহিরে শাওন সিজুক জলপ্রপাত,
রিমঝিম অন্তরীক্ষ ক্রন্দন,
নিতন্দ্রলোচনে অলস হস্ত
ত্রিতল ইমারত বেলকোণী গ্রিলধরে,
আবেগী উন্মাদনায় দেখে কৌমুদী কাদম্ব অন্তিম চুম্বন।


অবসন্ন কৌমুদিনীর ভাগশেষ প্রভায়,
তন্দ্রাবিনাশিনীর মুখ!
যেন প্যারিসের তরে গুপ্তব্যকুলতায় কামরাঙা হেলেন,
আমি যেন প্রণয় পিয়াসী মেনেলাউস,
যেন বিধ্বস্ত ত্রয়া।
যেন পূর্বজন্মের পিশুন স্মৃতি,
কুরে কুরে খাচ্ছে আমায়।
তোমার ক্ষণিকা অধর পরশ,
যেন রক্তাভ রৌদ্র হয়ে, শুষে যায় আটপৌরে জীবন।


শবদের ভাগাড়ে কিলবিল করে আমার অর্ধমৃত স্মৃতি,
তুমি মেহের হয়ে ভাসো মোঘল প্রণয়ে,
আমার অক্ষি জুড়ে থাকুক নিজলা নোনতা পয়োধি।


(সংশোধিত )