আমার একতারাটা এখন,
অবহেলা বুকে নিয়ে ঝং ধরতে শিখেছে,
কতদিন হলো, অভিমানে পরে আছে লকডাউনের মতো।
শেখ, তুই এসে আরেকবার ছুঁয়ে দিস,
মরমী গান গেয়ে মান ভেঙে দিস।
তুরাগ নদীর তীরে সুরুজ আলীর চায়ের দোকান এখন আর নেই,
যেখানে বিকেলের আড্ডায় সরব থাকতো চায়ের পেয়ালা,
কাজ ফেলে উত্তরা থেকে ছুটে  আসতো হান্নান,
কলেজ গেট থেকে গীটার কাঁধে হেঁটে আসতাম আমি আর শঙ্খহৃন্দম,
পড়ার টেবিলে বই ছুঁড়ে ছুটে আসতি তুই।
বিকেলের কাঁচা রোদ মুখে নিয়ে চুপটি মেরে উদাস মনে বসে থাকতো শঙ্খ,
ব্যাগ হতে গীটার খুলে টুংটাং বাজাতো হান্নান।
নতুন লেখা কবিতা পাঠে মুগ্ধ করতি তুই।
মনে আছে কি?
একটা ফুটফুটে তরুণী শঙ্খকে চিমটি দিয়ে বাবার পাশে চুপ করে দাড়িয়েছিল।
তার ঠ্যাপ ঠ্যাপ নয়ন আর মোহনীয় চাহনি দেখে
মুগ্ধ হয়েছিলাম নিজেও।
তারপর চা আড্ডা শেষে টঙ্গী স্টেশন থেকে তুরাগপাড় কবিতা গানে মুখরিত রাখতাম।
মনে আছে সেই দিনগুলি?
বেলা শেষে ক্লান্ত পাখির মতো অনিচ্ছায় ফিরতাম গৃহে
থেমে যাওয়া রাখালের বাঁশের বাঁশির মতো।