কবিতা"
আব্দুছ ছালাম চৌধুরী


আমি—
সৌখিন মেঘদূত, আর ওই নীল আকাশে উড়ে যাওয়া পাখপাখালির ক্রন্দন,
আমি বাতাসের তীব্রতায় গন্তব্যহীন, যেথায় সেথায় গড়ি বন্ধন।
আমি—
প্রখর রোদে বিপত্নীক কবিতার জলন্ত কাঠ পুড়ানো আগুনের লেলিহান,
আমি ধোঁয়া ধোঁয়া ধোঁয়া, ফুসফুস ধ্বংস করে যাওয়া ধোঁয়ার চাক্ষুষ প্রমাণ।


আমি অধিকার বঞ্চিত নারীর অভিশাপ,তার অভিব্যক্তিতে আঘাতের শেষ বৃষ্টি,
তার অনিচ্ছায় ঝরা ছলছল আঁখি,অতিথির নোনা জল, এক মন দুই রাষ্ট্রের কৃষ্টি।


আমাদের—একই রূপ-রঙ -থেকেও আমরা ঘৃণার পাত্র,
আমি বিভাজন এক গোত্র।
আমি বি এস এফ এর নিঃশব্দ রাইফেলের গুলি,
ফেলানীর মৃতদেহ—কৃষকের লাশের উপর সাম্রাজ্যবাদীর পতাকা উত্তোলনে—অবাধে পথচলি।


আমি
লাজবন্তীর লাজুক লতার কলঙ্ক! মিহির জাগানিয়া গল্প সম্ভারে' ঝরা বকুল,
আমি—কবিতার ছেঁড়া তার,
কবির রং তামাশা, প্রভাতের শিশির বিন্দু, জ্যৈষ্টি আমের মুকুল।


আমি—
শ্যামা সংগীতের আহত সুর,
এখানে সেখানে বসে দেখি রাখা ভোর।
আমি কবিতার পংক্তি লয়ে ভাঙা সখীর কুঁড়ে ঘরে করি রাত্রি যাপন,
তার স্থাপত্য কলাকৌশলে হেলান দিয়ে আবার আকাশে তাকাই-
শুনি তার বাঁশ বাগানে মেঘের গর্জন।


আমি কবিতা—
কুশিয়ারা নদে ভেসে আসা শতসহস্র কচুরিপানা—মন-মাঝির গানের ভুবন,
আমি—
সৌখিন মেঘদূত, ওই নীল আকাশে উড়ে যাওয়া পাখপাখালির ক্রন্দন।


২৩/৯/২০২১ খ্রীস্টাব্দ/লন্ডন "