(বরিশালের বরগুনার আঞ্চলিক ভাষায় লিখা)


এ বানেছার মা আহাশে দেহি-
     সাদা ম্যাঘে ভইরড়া গেছে,
ধান হিজাইছো ক্যারে তুই
     রৌদ না উডলে ক্যামন হরবি
একটু কওনা বুয়ারে তুই।


মোডে,চার ডোঙ্গা ধান হিজাইছি-
    রৌদ দেইক্কা মুই বিয়ালে,
রাইতে যে ম্যাঘে ভইরড়া যাইবে
     বুঝঝি নাহি মুই বিয়ালে।


এ বানেছার মা রৌদ না উডলে-
     ধান লইয়া হরবি আনে কেমন,
চিন্তায় মোর মাতাডা ধরছে কিন্তু
     মুই মাদ্রাসায় যাই এ্যাহন।


যদি দ্যাহো রৌদ উঠছে আহাশে-
   পাতলা হইরাড়া ধান দিবি খইল্লানে,
ঘোন ঘোন লাড়া দিবি বুয়া
     দেখবি ধানের পানি টানবেয়ানে।


ঘোন ঘোন লাড়া দিমু নোনা পানি টানতে-
সময় হলে একজনারে থুইয়া
  খইল্লানে যামুয়ানেই মুই রানতে,
একটা কিছু করমু আনে মুই-
    তুমি চিন্তা হইরড়ো না,
রাগের চোডে কেলাশে যাইয়া
    পোলাপানরে মাইররো না।


হুনছো, বিয়ালে আইয়া ধান টানবা-
    যা আছে ওই কপালে,
বৃষ্টি যদি আইয়াই পরে,
  চিনি কাগোজদ্দা ডাকমুয়ানে খইল্লানে।


আল্লা আল্লা হর তুমি যেন রৌদ উডে-
    চিন্তায় কোলো মোর কইলজাডা
এ্যাকছের ঘোন ঘোনো কোডে।


দোয়া হরি, এমন রৌদ উঠে যেন-
    মইরড়া যায় ধানের পানি,
আল্লায় কিন্তু এই অভাগারে
   দানা পানিতে মারবেনারে জানি।