আমার গাঁ  (২২৫১ তম)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
০৩-০৯-২০২৩ ইং
**************************
ওই মনসাতলী গাঁয়ে বাড়ি মেঠো পথের ধারে
জেলার নামটি বরগুনা খাকধোন নদীর পাড়ে।
এই গাঁয়েতে মনসা নেই আছে বটবৃক্ষের ছায়া
তপ্তরোদে গাছের ছায়ায় জিড়ায় পথিক ভায়া।
গাছের ছায়ায় দুষ্ট ছেলেরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত
লক্ষ্য  করলে দেখতে পাবেন ফ্রী ফায়ারে ন্যাস্ত।
মাঝে মাঝে দেখতে পাবেন কৃষক গাছের ছায়ে
পায়ড়া নদীর পাড়ে হাটলে বঙ্গোপসাগর বায়ে।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বিভাগের নাম বরিশাল
সবখানেতে দেখতে পাবেন শুধু জালের মত খাল।
সকাল হলে গাঁয়ের কৃষক  কোলায় কাজে লাগে
রাখাল ছেলে গরু নিয়ে ফিরে সূর্য ডোবার আগে।
কাঁচা রাস্তা নেই যে আস্তা মাঝে পাকারাস্তা চলমান
তার পরেতে গাঁয়ের লোক অটোরিকশায় ধাবমান।
গাঁয়ের মধ্যদিয়ে জেলাবোর্ডের রাস্তা সদরে গেছে
পশ্চিম দিকে বিষখালী নদী,জোয়ার ভাটা আছে।
লাকুরতলা মোদের বাসস্টান্ড এই গাঁয়ের কেন্দ্রবিন্দু
পশ্চিমে শরীফ বাড়ি দেখবেন আছে কয়ঘর হিন্দু।
পাকারাস্তার একটু পশ্চিমে মনসাতলী খালের পাড়
ব্রীজের উত্তরে তাকালে দেখবেন আমার পাকাঘর।
দাওয়াত দিলাম আইসো বন্ধু একখান পান খাইতে
আমার কথা জিজ্ঞাসিলে সমস্যা হইবেনা যাইতে।
বন্ধুগন যে গাঁয়েতে জন্ম আমার,তার তুলনা  নাই
ধান নদী খাল সবই আছে,আমার চতুরপাশে ভাই।
শেষে আমি বলছিরে ভাই, ধন্য আমি এখানে ধন্য
বরগুনা জেলার দক্ষিনে সদর থানায় জন্মের জন্য।