বিজয়ের ষোলকলা
  এম,এ,সালাম ( সুর ছন্দের কবি)
  ২২-১২-২১
======================
কত লাশ যে ভাসলো খালে পুকুরে
পিতার সামনে ধর্ষণ করলো খুকুরে,
সভ্রম কেড়ে গুলি করে মারলো জায়ারে
সময় দেয়নি পড়তে তওবা টুকুরে।


কত ব্যায়নট দিয়ে আঘাতে মারে তারে
গুষির পরে লাথি মারে জোরশে ঘারে!
চাক্কু দিয়ে চক্ষু উপরে ফেলে দেয় বা'রে
রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেহটারে!


খোকা খুকু নয় এতিম করে জাতিটাকে
ওদের বিবেকটাকে বিকিয়ে দেয় ফাঁকে!
জ্ঞানীগুনী শিক্ষিরজন খুঁজছে ফাঁকে ফাঁকে
গুলি করে মারছে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে!


মৃত্যুর মিছিলে নালা ডোবা ভর্তি হলো লাশে
পাক বাহিনী লাশ দেখে ক্রুর হাসি হাসে!
বাবা-মা হারা স্বজন যেথায় আঁখি জলে ভাসে,
ওই শুয়োর দলে রাখছে তাঁদের ত্রাসে!


নরপশু আর হায়েনা কই গেলো আজ কই?
কাক, ঈগল, শকুন দুঃখে উড়ছে দূরে ঐ,
লাশ খাবেনা লাশ ছোঁবেনা মানবিক যে হই
নই বেহায়া, নই বেতমিজ, যতোই ভুখা রই!


বলছে শিয়াল-শকুন মোরা বিবেক হারা নই!
আমজনতা মাসুম জনে করলে খতম ঐ,
দেখুন শুয়োর গুলো কই গেলো আজ কই?
কোথাও পেলে আস্ত তারে জ্যান্ত গিলে লই!


গুলি খাওয়া লাশগুলো আজ চীরঞ্জীবের দলে
আজীবন তাঁর প্রদীপে দ্বিগুণ আলো জ্বলে,
স্বাধীন বীর বাঙালী তাঁদের স্মরে পলে পলে
লাল সবুজের এই পতাকা যাঁদের ঋণের ফলে!


মারতে মারতে ষোলকলা পূর্ণ পাপের হলে
সময় হলে উচিৎ জবাব দিবে ব্যাঘ্র দলে,
প্রতিশোধে ঝাড়ু জুতায় কানটি দিলে মলে
প্রবল ঝড়ে ব্যাঘ্র শিয়াল উড়েই গেলো জলে!


পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ভাগলো শেষে  দেশে
হুর আর পুচ্ছ লুকায় নিজের পশ্চাদ শেষে!
পাক হায়নার মরণ যখন হলো অভিলাষে,
জালিম, জুলুমবাজের পরিনতি সব শেষে।