বধুর পোঁড়া মন (২২৫৬ তম)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
০৮-০৯-২০২৩ ইং
*************************
গাঁও গ্রামের গৃহ বধুরা কাঠ পুড়িয়ে রাধে
ওদিকে তার সন্তানেরা ভাতের জন্য কাঁদে।


ফর্সা রঙের সুন্দরী বউ ধোঁয়ায় হয় কালো
কষ্ট করে পাতা পুড়িয়ে চুলায় বহ্নি জ্বালো।


ফর্সা রং এর সুন্দরী বউ ইচ্ছা ছিল সাজে
গরিব ঘরের সংসারেতে ব্যস্ত নানা কাজে।


বধু সাজার কথা ভুলে গিয়ে,কষ্ট করে চলে
বয়স বধুর কম হওয়াতে মনে আগুন জ্বলে।


বধু যত চেষ্টা করে না কেন চোখে ধোয়া লাগে
এত কষ্টের মাঝেও বধুর মনে নানা স্বপ্ন জাগে।


শুকনো পাতা সাজিয়ে রাখে বস্তা ভর্তি করে
রান্নার সকল সরঞ্জামাদি সাজিয়ে রাখে ঘরে।


প্রতিদিন রুটিনে থাকে ঝাঁড়ু গৈডা মাটি দিয়ে
এত পরিশ্রমের মাঝে খুশি ছোট্ট ঘরখানি নিয়ে।


ভোর হলে ফ্যান-কুড়া ঘুলে হাস মুরগীকে দেয়া
আনন্দ হালি হালি ডিম কুড়িয়ে ঘরে তুলে নেয়া।


ঘরের পিছে যুক্ত আছে কেহর ছোট্ট ভের পুকুর
চুলার পিঠে ঘুমিয়ে থাকে বাড়ির বিড়াল কুকুর।


প্রায়ই রান্নার জন্য মাছ ধরা ঝাঁকি জালটি মেরে
টাটকা তাজা শাক-সবজি আনি ভিটা হতে হিরে।


প্রাণের প্রিয় কেহর স্বামী রোজ যায় কাজে চলে
স্বামীর জন্য অধির আগ্রহে চেয়ে বয় সন্ধা হলে।


এমন করেই দিনাতিপাত ননদ শ্বশুর শাশুড়ী ঘরে
কাজের মাঝে দোষ পাইলে কেউ ছাড়ে না তারে।


ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে উঠে মনখানি তার দুলে
স্বামী আদর সোহাগ পেয়েই সব কষ্ট যাই যে ভুলে।


বধুর মনটা পোড়া স্বামীর ঘরের কেঊ তো বুঝে না
রঙিন হৃদয় পুড়ে ছাই হয়েছে কেউ তো খুঁজে না।