হে বাংলাবর্ষ
এম এ সালাম
১৩/০৪/১৯
লালসালুতে ড্রেস পড়ে তোর আগমন-
বছর শেষে নতুন দিনে করব বরন,
এই দিনে পান্তা-ইলিশ এত যে মধুর
হাজি ভরে নতুন ইলিশ করব গ্রহন
আসবে তুমি কৃষ্ণচুড়ার রঙে সাজে-
শিমুল তলায় বৈশাখের গল্প বাজে,
ঘোড়া যাবে হাতি যাবে মঙ্গলযাত্রায়
সাজব আমি এই দিনে নতুন মাত্রায়।
বন্ধু-বান্ধবী যাবে,যাবে প্রতিবেশী-
বন্ধুর আর বান্ধবী মিলে মিশে
নববর্ষের মহানন্দ বরণ করে নিয়ে
সারা বছর করবে হাসা হাসি।
এই দিনে বড় লোকে খায় পান্তার সাথে-
বিশখালীর রুপালী ইলিশ মাছ,
গরীবেরা খায় বরাবরের মত আজ
টালা মরিচ আর পান্তা ভাত।
পহেলা বৈশাখে মেলা বসে-
লাল সালুতে হাজারো স্থানে,
বাংলার বড় মেলা বসে নাকি,
সেই ঢাকার রমনার বটমূলে।
শহুরেরা ভাবে এই পহেলা বৈশাখে-
পান্তা ইলিশ নাহি খেলে,
সারা বছরের ভাগ্য আর কর্ম নাকি,
যাইবে দুঃক্ষে কষ্ট আর বিফলে।
বাংলার প্রায় স্থানেই মেলা বসে-
পহেলা ইবৈশাখের বরাত দিয়ে,
মেলার নামে জুয়াবাজি চলে,
যাত্রার মঞ্চ বসে তার পাশে।
বৈশাখী মেলায় পুরুষের চেয়ে-
নারীর গমোনাগমন বেশী,
মেলার বরাত দিয়ে পন্য কিনে,
কেনার প্রতিযোগীতা করে বেশী।
কেহ পন্য কিনে সন্তানের জন্য-
কেহ কিনে প্রেমিকের জন্য,
কেহ কিনে পরম স্ত্রীর জন্য,
স্বামীর জন্য কিনে হয় মহাধন্য।
মেলার নামে কত আড্ডাবাজি-
কত বেহায়াপনা চোঁখে দেখি,
মেলার নামে মাদকের নেশা,
করে যে কত মাদিক সেবি।
এই সুবাদে কত প্রেমিক-প্রেমিকা-
বৈশাখী মেলার সুযোগ নিয়ে,
গোপনে গোপনে প্রেম ভালবাসায়,
মজে যার যার পছন্দ নিয়ে।
পহেলা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা-
উৎসব করে শুভ হালখাতার,
লক্ষী ক্রেতারা মিষ্টি খেয়ে,
নাম লিখায় নব হালের খাতায়।
বৈশাখের নামে কত নেতারা-
চাঁদা বাজি আর ধান্ধাবাজি করে,
সুযোগ নিয়ে কত গুন্ডারা,
দু'আঙুলে পকেট মারে।
মেলার নামে,আনন্দের নামে-
খারাপ কাজ বেশী হয়,
সরকার একটু সু-দৃষ্টি দিলে,
কোটি-কোটি টাকা বেঁচে যায়।