লাশ ও বাঁশ
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
০৪-০৬-২০২২
=================
কবরের বাঁশ পঁচার আগেই
মানুষের লাশ পঁচে
সুযোগ পেলে মানুষ আবার
কত রকমের ঠাঁসে।

সুযোগ সন্ধানী মানুষগুলোর
এই চরিত্রটা বেশী,
উপকার ভোগীদের সাথে করে
কত রকম রেষারেষি।

সু-সময়ের সু-বাতাস পেয়ে
অসময়কেও ভোলে,
পশুর মতো আচরণ করে
চোখের পর্দা তোলে।

পশুর ধর্ম পশুবৃত্তি করা
খেয়াল খুশী মত,
যাই করে এই পশু কিন্তু
তাহার ধর্মে মত।

কিন্তু যারা আজ মানব পশু
বক ধার্মিকের বেশে,
অপকর্ম করতে পারে যে
অনায়াসে হেসে হেসে।

ভালো মন্দের ধার ধারে না
নিজের স্বার্থে অন্ধ,
বিবেক বুদ্ধি মন-মানসিকতা
এক্কে বারেই বন্ধ।

একেবারেই বন্ধ তাদের
ভালো কাজের রাস্তা,
হারাম টাকায় আরামে খায়
চিংড়ি নুডলস পাস্তা।

খায় আর ঘুমায় মনের মত
ঘুমিয়ে কাটে বেলা,
যতো পারো আরাম করে
সামনে আছে খেলা।

সামনে খেলায় ছলায় কলায়
কাজ হবে না মোটে,
অপকর্মকারীর ভাগ্যের ফল
ভালো-মন্দ জোটে।

ছোট বড় যত অপকর্ম
সবই হবে ফাঁস,
তবুও মানুষ সুযোগ পেলে
অপরকে দেয় বাঁশ।