ষোল বছরের সংস্কৃতিটা আজ-
ধুলোয় মিশিয়ে দিলি,
স্বর্ণকে আজ অবজ্ঞা করিয়া
দূরে ফেলিয়া দিলি।
মনের কোনে আজ গঙ্গা বহিবে-
গঙ্গা বহে চোঁখের কোনে,
হঠাৎ করে মেঘমালা আসিয়া
মনে কালিমা লেপে দিলে।
আনন্দ আজ নেই রে মনে-
আছে মনের কোনে কষ্ট,
সকাল বেলার মিষ্টি হাসিটা
হয়ে গেল কেন রুষ্ট।
মনের কোনে মেঘ জমিয়েছে-
বৈশাখের কালরুপে,
দহনের দগ্ধে পুড়িয়া সব অন্তর
ধুলায় মিশিয়ে দিছে।
পুন্যের লাগিয়া করিলি যাহা-
আশায় গুড়েবালি,
পূন্যে না পাইয়া শূন্যের খাতা
বোঝাই দিয়া নিলি।
কাহার দোয়া আজ গ্রহন করিলি-
নিজেদের সুচতুর ভাবিয়া,
দোয়ার পরিবর্তে বদ্দোয়া নিলিরে
নিজের টাকা দিয়া কিনিয়া।
বুঝেছো আজ ঠকাইয়া দিলাম-
বিদ্যাপিঠ গুরুদের,
গুরু ঠকে নাই ঠকিলি তোরা
কষ্টে অশ্রু ঝড়ে মনিবের।
হাসিমাখা বদনে লেপে দিয়েছো-
লাঞ্চনারি কালমেঘ,
কষ্ট আর ক্ষোভে বাড়িয়ে দিচ্ছো
মনের মাঝে ভাবাবেগ।
একজনের আনন্দে ষোল কাঁদে-
এটা হল কেমন কথা,
বিদায়ের বেদনায় একজন হাসে
সব থাকে নীরাবতা।
রচনার সময়কালঃ- ২৩-০১-১৮ ইং
মনসাতলী নিজ বাসভবন
এম বালিয়াতলী বরগুনা সদর