আষাঢ় -শ্রাবন দুই মাসেতে-
    দেওই হয় বেশী,
পাশের ঘরের মোগো দুদুর
    ঠান্ডা লাইগগা অইছে কাশি।


ঘরের চান্দায় হবরি গাছে-
   পাকছে গোইয়া হবরি,
হুমমের বিডায় কান্দির মধ্যে
    পাকছে ক্যালা কবরি।


পাইররা আন গোইয়া হবরি-
    গাছে রইছে পাইক্কা,
জম্মের খাওয়া খাইতে আছে
    মোদের নাইক্কা মুইক্কা।


ডাইলে লবন দিছো কিনা-
   মনু  আতে লইয়া দ্যাখ,
মোর স্বামী কোলম রাউজ্ঞা ব্যাডা
   এক্কেবারে বরিশাইল্লা শ্যাখ।


মোর দাদায় আল্লহে চোহিদার,
   গেরামের চোর ডাহাইত ধরত,
চেয়ারমানের উকুম ছাড়া
     কি কাজটা যে করতো।


আসল বরিশাইল্লা যদি-
    চিনতে কেহ  চাও,
কেউন্না কেন্নি হরতে গেদু
     একটু মোগো দারে আও।


কপাটের লাট হোনছো কিনা-
      বালি কোচার নাম,
এইডা দিয়া পিডান দিমুগেদু
    ভুলবি বাপ-দাদার নাম।


আইল্লা আল্লেহ গোডা দুই-
    কামে দিত ফাকি,
বেতন ধান সব দিতাম না
     রাখতাম কিছু বাকী।


কে হালাইছে পাকা ধানের-
     খেতের মধ্যে ছিল্লা,
হ্যারে তো মুই ধরতে পারলে
     আস্তা খামু আনে গিল্লা।


বিদ্রঃ- বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় লিখেছি,
কোন খানে ভুল হইলে মন্তব্যে সেরে দিবেন।