পাগল ছেলে কোথাকার  (২০০৩)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
২৭-১২-২০২
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
হৃদয়ের মাঝে কত কথা লুকিয়ে ছিল-
ভেবেছিলাম নীরবে বলব একদিন তোমায় ,
দূরাত্ব রেখার মিটার স্কেলের পরিমাপ করে
সকল কথা পুড়ে ভস্মীভূত করে দিলাম।


তুমি একদিন জানতেও চাওনি লোকটা
পাগলের মত এত ভালোবাসে কেন?
তাই পুরানো ভাবনা ঘুড়ি নাটাই ছিড়ে
নীল আকাশের নীচে আউলা বেশে কঠিন
সিন্ধুকের মত হৃদ মাঝারে ডুকার সহজ সরল
সমীকরণ খুঁজতে খুঁজতে অজানা অকল্পনীয়
নীড়ে কৌশলে ডুকেও  হলাম কুপোকাত।
বিরহী কুয়াশাজড়ানো  নিশি কষ্টের ঢেউ তুলে
হৃদয়ের মন্দিরে  বহে ছলাৎ ছলাৎ কষ্টের ঢেউ।


এমন বুঝি কেহ ভালোবাসতে চাইলে চিরায়ত
নিয়ম কেহ না বুঝার ভানে ভাগ্যে সব নাহি জুটে,
সেই যে কখন থেকে অদৃষ্টের  অমোঘ লেখনীতে
সুখের দখিনা সমীরণ উধাও হয়ে পালতুলে
বসন্তের সুখের পায়ড়া আমা হতে উড়ে গিয়ে
মগডালে উঠে প্রেম পাগলের তামাশা দেখছে।


জানি,তোমার জিম্মি জীবন মন সদা বিদ্রোহ করে
রসনা বিলাস থেকে মুক্তির স্বাদ নিতে বারংবার ,
চেষ্টা চালিয়েও ফাঁদের তরঙ্গমালায় ছুঁই ছুঁই ছুঁই না।
শুধু পরাজয়ের গ্লানিতে সব আশা ভেঙে চুরমার।


তবুও আমার এ বিধ্বংসী জীবন নিশীথে স্বপ্ন দেখে
মগডালে উঠার সুখ পেতে বারংবার ঘুরে দাড়াই,
ভাবছি অভাগার কপাল এত্ত পোড়া লাগবে কি কখনো
জোড়া সেই ভাবনায় আঁখি যুগল দেখে শুধু আঁধার।


কাহারো কাছে কোন অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিব না
লক্ষীসোনা তোমার কাছে মন পালানো ধারালো ছুঁড়ি থাকলে একটু নীরবে যতন করে চালিয়ে দাও দেখো
মন পালিয়ে কোন অজানা ঠিকানায় কষ্ট বিলাস সঙ্গী করে ভাগ্যকে নিরন্তর বরণ করে মৃত্যুর দারপ্রান্তে পুছে
যাই,অর্থ নেই মন আছে সামার্থ নেই ভালোবাসা আছ
আর তুমি অযাচিত অশোভন তামাশা দেখে নীরবে
হাসতে থাকো আর বলো পাগল ছেলে কোথাকার।


বিদ্রঃ-২৬-১২-২০২২ ইং তারিখের জীবনের স্মরনীয় দিনে স্মরণীয় ঘটনা বেঁধে রাখলাম হাওয়ার তাঁরে।