খেজুর গাছের ছবি দেখে আজ-
    শিশু কালের রসের কাহিনীটি
         মনে পড়ে যায়
তাই আমি রস ও চোরের গল্প
একটু  লিখি কবিতার  ভাষায়।


বাড়ীর সামনের ওয়াপদার রাস্তায়-
     একটি খেজুর গাছ ছিল,
রস কাটিত কাজের চাচায়
     সকাল বেলা রস পেরে আনিত।


ক'দিন ধরে কাজের লোকটি -
     লক্ষ্য করিতে ছিল,
কোন চোরা যেন ওই গাছটির রস
     চুরি করে নিতেছিল।


বাবার কাছে কাজের লোকটি-
     রস চুরির কথা বলে,
বাবায় বলে আজ রাতে রসচোর
    ধরিব যা থাকে কপালে।


কাজের লোক আর বড় ভাই-
      দুইজনে একত্র হইয়া,
চল,আর লাঠি সোটা লইয়া
   রাস্তার পাশে ঝোপে রইছে বইয়া।


রাত্র বারটায় এক চোরা আসিয়া-
     আস্তে আস্তে গাছে উঠিল,
কাজের লোকটি এই দৃশ্যটি
    অন্ধকারে ঠাহরে ঠাহরে দেখিল।


আস্তে আস্তে দু'জনে গিয়ে ওই-
      খেজুর গাছের তলায়,
কাজের চাচায় এভিরিটি হংকনের  লাইটে
   চোরের দিকে জ্বালায়।


মাজাই যখন তিন কাটার চল-
    চোরের দিকে ধরে,
হাউ মাউ করিয়া ওই চোরা
   কাঁদিল আকুলি বাকলি স্বরে।


বাবায় গেল দৌড়িয়ে রাস্তায়-
     দেখল পূরাণ চোরা,
ততক্ষনে চোরকে পিটিয়ে
     করল ওরা সারা।


বাবাকে দেখে পা জড়িয়ে ধরিল-
     বলে ওগো মাজাই,
আগামী কাল ছেলের বিয়ে
     করেন মনে যাহা চায়।


সকলে আসার আগে ওকে ছেড়ে দিল-
  এলাকায় বিয়ের ইজ্জতের কারণে
সেই কথাগুলো মনে পড়ে যায়
খেজুর গাছের পিক দেখার কারণে।