রুচিহীন বাবুর মুখ (২০৬৮)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
০৩-০৩-২৩
-------------------------------------
অলস বাবু বসে বসে খেয়ে
পেটে চর্বি জমে গেছে,
তবু বাবু হাপ-ছেড়ে বলছে
শরীর শুকিয়ে গেছে।
বাবুর ষোলটা আটার রুটিতে
হয় না সকাল বেলা,
রুচি নাই বাবু আপসোস করে
দায়সারা সকালবেলা।
দুপুর বেলায় এক কেজি গোস
সবজ্বি মাছ আর ডিম,
তবুও বলে ইদানিং রুচি নাই যে
কমের জন্য খাই হিমসিম।
দের কুড়ি পুড়ি রাতের বেলা খেয়ে
বলে ক্ষুধা রেখে যে খায়,
ভোররাত হলে ক্ষুধায় বাবুর পেটে
নাকি আকর্ষিক বন্যা বয়।
চিন্তা করুন বাবু কেমন রাক্ষস
এ সব কিছু খাওয়ার পর,
তবুও বলে শরীরে শক্তি পাই না
বুক দূর্বলে করে ধরফর।
বাবুর সুঠাম দেহো দূর্বল অনেক
এই কথাটাই বলে বেড়ায়,
অল্পের মধ্যেই মরে যাবো যে
বেশি খাওয়া থেকে এড়াই।
ডাক্তারের কাছে একটা দাবী তার
বেশী খাওয়ার তথ্য দিতে,
বেশি খাওয়ার জন্য যে টাকা লাগে
রাজি আছি তাহা দিতে।
কবিরাজ এসে ব্যবস্থা দিলো যে
রুচি ক্ষুধার অনেক বড়ি,
নানা বড়ি আর পত্য পেয়ে বাবু
খুশী হলো বেজায় ভারী।
তারপর থেকে ফাঁকে ফাঁকে খায়
ঘরের কাউকে না জানিয়ে,
চারি-কাপ চা আর দুইহালি ডিম
চায়ের দোকানে পোজ বানিয়ে।