সাগর পাড়ের রঙিন মানুষ-
তাদের মৎসই জীবিকাই উৎস,
কর্মব্যস্ত থাকলে ও তাদের
মনে আছে প্রেমের উৎস।
সকল মানুষ লাল রক্তে সৃষ্টি-
জেলে পাড়াও সেভাবে,
রক্ত মাংসের মানুষ তারা,
একটু বাস করে ভিন্ন ভাবে।
পেশা,মাছ ধরিয়া বিক্রি করে-
চাল ডাল কিনিয়া আনে,
ছেলে সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকে,
দুঃখ,কষ্টে আর চিন্তনে।
ভালবাসাও আছে তাদের মনেও-
আবেগ আগ্রহ ভরা জীবন,
স্বাধীন ভাবে বসবাস করা,
তাদের ইচ্ছার প্রতিফিলন।
জেলে পাড়ার ছেলে মেয়েদের-
অধিকার আছে লেখা পড়ার,
স্বাধীন ভাবে মতামত দিয়ে,
অধিকার আছে কথা বলার।
রফিকের মেয়ে ক্লাসে যায়-
ওই সাগর পাড়ের গাঁ হতে,
যাবার পথে প্রেমের প্রস্তাব দেয়,
কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রে।
সাড়া দেয় না ওই সরল মেয়েটা-
কিন্তু ডিস্টাব করে প্রতিদিন,
কয়েক দিন পর সারা দিয়ে,
দুজনে বাজায় প্রেমের মহাভিন।
রফিকের কানে পৌছে গেল,
তাদের গোপন ভালবাসার কথা,
রাগ করিয়া বন্ধ করে দেয়,
আদরের মেয়ের লেখা পড়া।
রফিক জোয়ারে টানে নদীতে যায়-
প্রতিদি মাছ ধরিবার তরে,
এই সুযোগে ওই মেয়ে প্রেম করে,
পাড়ার সকলের অগচরে।
তাদের মাঝে সম্পর্কের বাধন-
রক্ত মাংসে জড়িয়ে যেতে থাকে,
চুপি চুপি প্রেমের মঞ্চায়ন
করে দু'জনার মতামতে।
প্রেমের বন্ধন না যায় খন্ডন-
সম্পর্ক বিনে সুতায় বাঁধা,
সাদা দিলে কোন মতে,
মেয়েটা লাগাতে চায়না কাদা।
চুপি সারে প্রেমের জাল-
বিনা গিটে বুনে যেতে থাকে,
ছড়িয়ে যায় ভালবাসার বিস্তৃতি,
শুধু মনের বন্ধন হতে।
ভালবাসা যে কোন বাঁধ মানেনা-
না, মানে না জাতিকুল,
মা-বাবার মনে দাগ কেটেছে
মেয়ে আমার করছে মহাভুল।
সুত্রঃ- বঙ্গোপোসাগরের কোলঘেসে এক রূপক প্রেম কাহিনী। রফিক ছদ্দনামে কাহিনী লিখা।