হে নিষ্ঠুর আগস্ট তোমাকে আজ-
বাঙালিরা ঘৃনা ভরে স্মরন করে,
তুমি এসেছিলে পচাঁত্তরে বিষধর সর্প হয়ে,
তুমি ফনা তুলে ধবংস করেছ,
হাজারো বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে।
হে নিষ্ঠুর আগস্ট তুমি হার মানিয়েছো-
আফ্রিকার ক্ষুধার্ত হায়নাকে,
তুমি হুংকার দিয়ে ডুকে পড়েছো
মহান নেতার বত্রিশ নম্বর ধানমণ্ডীতে।
হে ঘাতকের দল করুনা কাকে বলে-
জাননা তুমি শিখনি কখনো,
সেদিন তোদের থাবায় ঝড়ে পড়েছিল
ষোলটি গোলাপের তাজা পাপঁড়ি।
হে নিষ্ঠুর আগস্ট সেদিন ঘাতকেরা-
হুংকার দিয়ে ক্ষুধার্ত ব্যঘ্রের মত
ঝাপিয়ে পড়ে মহিয়সী নারী মুজিবের
সহ ধর্মিনী ফজিলাতুননেছার উপর।
সেদিন কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে ছিল-
গর্ভধারীনি মায়েরা-শিশু রাসেলের জন্য,
আকাশ বাতাস কাঁদে কান্নার সমসুরে
তবুও ঘাতকের মন একটু টলেনি,
গুলি করে ওরা শিশু রাসেলের উপরও
হামাগুড়ি দিয়ে নেতিয়ে পড়ে মেঝেতে।
সেদিন ঘাতকেরা যাকে সামনে পায়-
তাকেই গুলি করে পাখীর মত,
ষোলটি তাজা নিষ্পাপ পড়ে
ঝড়ে পড়ে শাখের বৃন্ত হতে।
আহা! সেদিন রাইফেলের গুললিতে-
রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল পুড়ো বাড়ীটি।
এখনো চোঁখে সামনে ভেসে জ্বলজ্বল করছে
সেই রক্তাক্ত হলি খেলার কাহিনী,
সেদিন বন্ধুভাবা মানুষের চোঁখমন কেঁদেছিল
ক্ষত বিক্ষত শরীরে হায়নার থাবা দেখে।
রাত্রে ঘাতকেরা যাকেই পায় তাকেই খায়,
ওই ক্ষুধার্ত হৃদয়হীনা রাইফেলের গুলিতে,
আহারে! রক্ত গড়িয়ে পড়ছে মেঝ হতে সিড়িতে।
পাষানহীনা ঘাতকের মৃত্যুর হলিখেলা দেখে-
কাঁদছে ধানমন্ডীর নিশার আকাশ বাতাস
ওদের থাবায় রেহাই পায় নি-বেবী সেরনিয়াবাদ,
সুকান্ত,ফজলুল হক মনি সহ অন্তঃসত্ত্বা আরজুমনি।
সেদিন সকালে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী শরীর দেখে-
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শুভাকাংখীরা,
হু-হু করে কাঁদে আর বল
ওরে তোদের মৃত্যু হবেনা বাংলার মাটিতে শেখ মুজিবের স্বাধীন বাংলার ঘাটিতে।