সময়ের ট্র্যাডিশনাল (১৮২১)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
০১-০৭-২০২২
=========================
বিষবৃক্ষ টা আজও ট্র্যাডিশনাল হয়ে দন্ডায়মান
মুক্ত আকাশে কালো ধোঁয়ার বাড়ন্ত শোঁ-শোঁ
পদধ্বনি! আরামের নীরবতার পথ কন্টকময়,
নির্ভেজাল জনারন্যে বিভেদের নির্ভেজাল চাষ !
জাগ্রত চেতনায় হারিয়ে যায় সামাজিক মুল্যবোধ ।
মিলনের সঙ্গীতে উগ্রতার চরম পরম আস্ফালন !
প্রতিবাদের ঝড়ে কেঁপে ওঠে নগর থেকে গ্রাম,
সব ইচ্ছেরা স্বপ্নরা হুমরি খায় দিবা রাতে !
দৃশ্যমান আকাংকার দুয়ারে সার্বিক বিনাশের অস্পষ্ট ছবি !
রোজগার হীনতায় নমনীয়তায় কাঁপে দিগন্ত ! অতল অতল সমুদ্র সলিলে এক মুঠো বালি ছিটানোর
কৌশল মাত্র
হয়তো "আবার আসিব ফিরে" এক কঠিনতম মহড়ায় !
প্রত্যাশা র জানালায় যেন রাতে দখিনের সমীরণে  রজনীগন্ধার সুবাস,
অনুভবে সব বুঝেছি না....তা নয় ! ওটা প্রলেপ... হয়তো প্রলোভন!
এক কুৎসিৎ  আবরণে ঢেকে আছে আলোকিত পথ । উগ্র হিংস্রতার দাবানল থেমে থেমে জ্বলে ওঠে , তাল সুর কেটে  যায় সঞ্চিত চেনা সুরের মূর্ছনায় ।
একদিন এই খোলা আকাশটা মুক্ত ছিল  ! রচিত হয়েছিল ধ্রুপদি হৃদের কোনও ঘরানার সুপ্ত বাসনা । নির্মল অরুন কিরণে,উৎকর্ষতায় ডেকে নিয়েছিল তারুন্যেকে ! মন্দিরের সুর ঘন্টা, মসজিদের আজান, যেন মিলনের সাগর তীরে ঘনিভুত হতো অজানা এক অনুভূতির জোয়ার-ভাটায় !
কেন আজ অদৃশ্যমান ঈশান কোণের নীল আকাশ ধূসরতার কালো মেঘ,ছেঁয়ে আছে কড়াল মূর্তির বেশে।
আসলে এ ধরার কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়,হয়তো ক্ষণকাল,
তারপর এক একটি আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে আগুন বেড়িয়ে আসবে,
পুড়ে ছাড় খার করে দিবে ভন্ডামির কদর্য অমলিন মুখোশ শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছি  সেদিনের .........।