সংগ্রামের জীবন পঞ্জি (২০৫৩)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
১৬-০২-২০২৩
🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹
শৈশব-
যে মায়ে আমায় গর্ভে ধরিল
শৈশব পুষিলে কোলে,
যাহার কোলে এত সুখ ছিল
স্মরিলে আনন্দ দোলে।


তৃপ্তি মেটে না ডাকিবারে তাকে
ডাকিলে মা,মাগো বলে,
পরপারের ডাকে সারা দিয়ে মা
পনেরো ভাদ্র গেল চলে।


সুখের দোলনা যে ছিঁড়ে গেল
ছিন্নভিন্ন হলে কোলখানি,
মা থাকিতে অনেক সুখ পেয়েছি
এখন দুঃখের ঘানি টানি।


এ ক্রোড় হতে ওই কোলে যখন
চলে কোল বদলের পালা,
সব সুখ তখন বদলায় দুঃখেতে
শুধু হৃদয়ে বাড়ন্ত জ্বালা।


কৈশোর-
দূরন্ত চঞ্চলমনা কৈশোরে  যখন
শিক্ষার্থী রূপে সেই জীবন,
আনন্দ ফুর্তিতে হৈ-হুল্লোড়ে চলে
তখন নীরব থাকিতো মন।


তখন দিনের আলোতে স্বপ্ন কুড়িয়ে
স্বাদে মিটিতো মনের জ্বালা,
গভীর রজনীতে জ্বালিয়ে মশাল
কত গাঁথিতাম ফুলের মালা।


কাব্যের নীল আকাশে  মুক্ত  মনে
নির্ভয়ে করিতাম বিচরণ,
সবার মাঝে সুখের নীড় খুঁজিতাম
সতত ভাবিতাম প্রিয়জন।


উদ্যামে সাফাল্য পানে ছুটিত সবে
জানাতাম রঙিন স্বাগতম,
সবার মধ্য দেখিতাম স্বপ্নের জয়
থাকিতাম আমাতে ব্যতিক্রম।


যৌবন-
মুখোপ্রেক্ষি নয় এক সুখের জীবন
অনধীন দিগন্ত ছোঁয়া মন,
এক সময় এসে থেমে যেতো সেও
শিকল বন্দি পাখির মতন।


দুটি হাত পা আছে ঘুরিবার  তরে
আছে অন্তরে মায়ার বাঁধন,
সুন্দর বিশাল ধরা তবু লাগে যে
এক নির্দিষ্ট গন্ডির মতন।


একটা নিয়ম কানুনে বাঁধাধরা যে
সংকীর্ণ জীবনের প্রতিক্ষন,
ক্ষণিকের ওই  সুখ  স্বপ্ন দেখায়
যাতে স্বল্পতে ভেঙ্গে যায় মন।


সুপ্ত মনের গোপন চাওয়া পাওয়া
তাতে বন্দি ইচ্ছে গুলো,
যত স্বপ্ন দেখুন তা পুরণ হবে না
যেমন ঊড়ে পথের ধুলো।