পাড়ার সকল ছেলেরা মিলে-
    ক্লাস ছুটির পড়ে,
বই খাতা রেখে লাফাইয়া পড়িতাম,
    বাড়ীর বড় পুকুরে।
ডুবাডুবি খেলিতাম নদীর পানিতে-
   দুই দলে ভাগ হইয়া,
গাঁয়ের সব ভদ্রছেলেরা,
   মোদের দুষ্টমি দেখিত চাইয়া।
ডুবাইতে ডুবাইতে হাফাইয়া পড়িলে-
    আস্তে আস্তে যেতাম ঘরে,
খেয়াল রাখিতাম বাবায় ঘরে কিনা,
  পাইলে আমায় ধরে আচ্ছা করে মারে।
মাঝে মাঝে ট্যায়ার ঘুরাইতাম-
   পিছে পিছে দৌড়াইয়া দৌড়াইয়া,
ক'জন মিলে পাল্লা দিতাম,
    পাশাপাশি হইয়া।
বিকাল বেলা গরু রাখিতাম-
    সবুজ ঘাসের মাঠে,
গরু ছাড়িয়া দিয়া খেলা করিতাম,
    জন দশেক একসাথে।
বিলের ধারে রাস্তার উপর-
   বড় একটা গেওয়া গাছ ছিল,
ধরা ধরি করিয়া উঠিতাম সবে,
    নিচ থেকে পাছা ঠেলে ঠেলে।
ছুটির দিনে সকাল বেলা-
     গাছে উঠতে গিয়ে দেখি,
বাবায় আসছে গরু লইয়া,
  আমি দৌড়িয়ে পালিয়েছি।
লাটিম খেলিতাম ক'জন মিলে-
   অন্য সবে দেখিত খেলা,
খেলায় খেলায় কোন সময় যে,
   চলে যেত বেলা।
সন্ধা বেলায় মার্বেল লইয়া-
    উঠিতাম গিয়ে ঘরে,
মার্বেলের জালি মায় দেখিয়া,
    আচ্চা করে মারে।
ওই আনন্দ মোদের জীবনে-
   কোন দিন আসিবেনা আর,
বাঁচার তাগিদে কাজের তরে,
   যার যার পেশা ধরি।