‘শরতের শেফালী’


শেফালী সকাল বেলার শিশির ভেজাফুল,
শেফালী সুরভী ছড়াতে কখনো করেনা ভুল।
আজকের সকালটা ছিল ভরা সৌন্দর্য্যে,
অপেক্ষায় ছিলাম তোমায় সুপ্রভাত বলতে।


শেফালী তোমার দু’চোখে জল ছিল;
বলনিতো আগে কখনো,ব্যথিত কার জন্য!
মুছিয়ে দিতে গিয়ে আমি হয়েছি অপরাধী
বলতে পারতে তুমি! তোমায় ভালবাসি নিরবধী।


শিফালী তুমি অস্থির, চঞ্চল, সরলতায় ভরা,
নিজেই ঝরে পড়তে হও দিশাহারা।
তোমার সর্ব অঙ্গে ছিল শুভ্রসাদা আর কমলা,
অপেক্ষায় নষ্ট হয়ে গেল দূলর্ভ মূর্হুতগুলো।


শেফালী তোমায় ভালোবাসা দিয়েছি,নিঃস্ব করে
কখনো তুমি বলনি; তোমার হৃদয় খানি দেবে উজার করে।
তুমিতো নিরব নদীর বয়ে যাওয়া জলাশয়;
তুমিতো ভোরের আকাশের থমকে থাকা মেঘালয়।


শেফালী তোমার দুঃখে কাঁদে সবুজ বৃক্ষ-
মাধবীলতাও তোমায় ছাড়া নিঃস্ব।
তোমাকে এখনো জানি অপার সৌন্দর্য্যে,
আমি চাই বার মাস ছড়াও তোমার মাধুর্য্যে।


শেফালী তুমি বাতাসকে রাঙিয়েছ সুরভিতে,
আমায় কী পারনা দু’হাত বাড়িয়ে দিতে?
তোমার চোখের জল দিয়ে নিভাবো আগুন,
তুমি কখনো আর বিষন্ন হয়োনা এমন।


শেফালী তোমার অজস্র অবহেলায় কেটেছে দিন,
তুমি শুধু দিয়েছো এতো দুঃখ এতো নির্যাতন।
শেফালী তোমারও হয়তো ছিল উল্লাস-
না বলা কথা গোপন রেখে ফেলেছো দীর্ঘশ্বাস।


শেফালী তুমি ফিরে এসো,
আমায় না হয়, কাউকে, ভালোবেসো....
তুমিতো স্বপ্নময়ী, তুমি শ্রাবনের বর্ষণ।
মনে বড় সাধ জাগে, তোমায় করি আলিঙ্গন।


শেফালী তুমি নয়তো সমুদ্রের ভেজা বালি,
তুমি উত্তপ্ত ঊষার আলোর ঝলকানি।
আমার সারা জীবনের দুঃখ, তুমি বেদনা দাও বলে,
তোমার দুঃখ থাকেনা, বৃষ্টিতে ভিজো বলে।


শেফালী তুমি বড়ই অভিমানী,
তোমায় ছাড়া কাউকে আপন ভাবিনি।
তুমি নীল আকাশের ডুবে থাকা চাঁদ
তোমায় দেখা পাবার আসায় এখনো জাগে স্বাধ।


শেফালী তুমিতো দোল খাও শরতের বাতাসে,
পাখির মতো উড়ে বেড়াও প্রজাপতি বেশে ৷
তুমি ভোর বেলায় বিছাও ঝড়া ফুলের বিছানা,
তোমার মনের মধ্যে আছে,আনন্দ ,সুখ,উদ্দীপনা।


শেফালী একটা অনরোধ কী করতে পারি ?
সকল বেদনা ধুয়ে মুছে ওড়াও তোমার  ‍ফুলঝুড়ি ৷
তোমার বুকের ভিতর জমে থাকা না বলা কথা,
আমায় দাওনা ভাগ করে, তোমার সকল ব্যাথা।
                                  - বেগম সেলিনা খাতুন।