যে পথ রেখে এলাম, মক্কার ময়দানে,
সেই পথে মন চায় বার বার করিতে দর্শনে।
আছে সেথায় খোদার ঘর, কালো গিলাপে ঢাকা,
তাওয়াফের ঘূর্ণিয়ের স্বাদে, হৃদয়ের কালিমা হয়ে যায় ফাঁকা।


যে পথ রেখে এলাম, যমযমের ঝর্নাধারা।
পানেতে তৃপ্তি, রোগ থেকে মুক্তি, যমযমের পানি দ্বারা।
যমযমের পানি, আল্লাহর নিয়ামত জানি
মনের গভীরে সঞ্চালিত হয়, মা হাজেরার কথা,
শিশু পুত্র ইসমাইলের কথা, সাফা মারওয়ার কথা।


যে পথ রেখে এলাম, মক্কার ময়দানে,
সেই পথে মন চায় বার বার করিতে দর্শনে ।
আছে সেথায় হাজরে আসওয়াদ, মোলতাজাম,
মাকামে ইব্রাহীম, হাতিম, মিজামে রহমত, রোকনে ইয়ামানী।


যে পথ রেখে এলাম মসজিদুল হারামে,
সেই পথে মন চায় বার বার করিতে দর্শনে।
প্রতি রাকাতে নামাজের সওয়াব দান করেন,
আল্লাহ পাক, লক্ষ রাকাতের, সমান।


যে পথ রেখে এলাম, গুনাহ মাপের ময়দান,
হে আল্লাহ তোমার বান্দার গুনা মাপ কর
যদিও সে গুনা হয় পাহাড় সমান।
তোমার রহমতের ছায়া থেকে করোনা আশ্রয়হীন।


যে পথ রেখে এলাম, আছে সেথায় মজদালিফা,
শয়তানকে পাথর মারিবার জন্য ,পাথর সংগ্রহ করে সকলে মিলিয়া।
খোলা আকাশের নিচে, ইবাদতে থাকে মশগুল।
আল্লাহ পাক সকলের দোয়া নিশ্চয় করেন কবুল।


যে পথ রেখে এলাম, সেথায় আছে ।
জাবালে রহমত । জাবালে রহমতে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভাষণ দিয়েছিলেন বিদায় হজ্জের।


যে পথ রেখে এলাম, সেথায় আছে জাবালে নূর।
জাবালে নূর, হেরা পর্বত তার অপর নাম,
সেখানে বসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করিতেন ধ্যান।
মহান রাব্বুল আলামিন প্রথম ওহি করিয়াছিলেন দান।


বিদায় তাওয়াফ করিতে মন ভেঙ্গে যায়,
প্রতিটি মানুষ ক্রন্দনে ক্রন্দনে আবেদন জানায়।
হে আল্লাহ ,তোমার ঘরে বার বার আসিবার, নসিব করিও আমায়।