কুমারের খোঁজে চললাম,পুরনো একটা ব্যাগ আর সঙ্গিনী কালো মলাটের ডাইরিটা নিয়ে।যেখানে সন্ধা নামিবে সেখানেই কোন উদার ব্যক্তির বাসায় কঁড়া নেড়ে থাকার জন্য একটু আশ্রয় চাইবো।দুদিন পেরোনোর পরে নানান পথ আর আঁকাবাঁকা গ্রাম শহুরের পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে ঠিকানা মতো পৌছালাম কুমারদের গ্রামে।
গ্রামের কোথাও আধুনিকতার ছোঁয়া নেই তবে এতটুকু বলতেই হয় আমাদের চিরাচরিত সংস্কৃতির রক্ষার্থে এরা বদ্ধ পরিকর।
ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই মাটির তৈরি আসবাব পত্র তৈরি করতে ব্যস্হ।
বিভিন্ন আকৃতির আসবাব।
ঘর গুছানো থেকে শুরু করে
অফিস আদালত পর্যন্ত সাজানোর পন্য তৈরি করে এরা।
কিন্তু আধুনিক সমাজে বিদেশি পন্য আমাদের এই বাঙ্গালি ঐতিহ্য বিলিন করছে প্রতিনিয়ত।
সঠিক মুল্য আর দেশে কুমারদের তৈরি পন্য সামগ্রীর কোন চাহিদা তৈরি করতে না পারায় অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।
তিনবেলা খাবার সংগ্রহ করতে হিমশিস খায় বাড়ির কর্তাবাবু।
বাঙ্গালিদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষার্থে দেশের সরকার সহ সমস্হ মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
আর একই শুরে শুর মিলাতে হবে
চল কুমারের খোঁজে।