আমি আর কোনোদিনও কবিতা লিখব না!
আমার কবিতা আজ আর কেউ পড়ে না
তুমিও না
এমনকি লেখার পর
আমিও না।


এক অদ্ভুত স্বপ্নের ইশারায় সেই লেখা শুরু
কোনো এক উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায় আলোকিত সন্ধ্যায়;
আজ স্মৃতিভ্রষ্ট মাঝরাতে শেষ হল!


আমার এখন আর কিছু মনে পড়ে না,
মনে পড়ে না, কোথায় কে ধর্ষিত আঁধার গুঁজে দিয়েছিল
শরীরের প্রতিটা লোমে, তিনজন অদ্ভুত মোহনীয়
নারী আমাকে ভালোবেসেছে কিনা, আমার এখন
আর কিছু মনে পড়ে না...


আমার কাছে সব খুব বিষণ্ণ লাগে
বড় বিষণ্ণ লাগে এই রাস্তা-ঘাট-হাটবাজার
আমার বিষণ্ণ লাগে এই স্বার্থান্বেষী মানুষের ভিড়
তবুও কারা যেন নিঃস্বার্থে ভালোবাসতে চেয়েছিল পৃথিবীটাকে
কাস্তে-হাতুড়ি খচিত লাল পতাকা হাতে ; অনুপাতে অনুপাতে তারা
এখন একানব্বই আর নয়; তবু ভালোবাসতে হয়
বাঁচতে হয়,  বাঁচার জন্য লড়তে হয়।
মনে রেখো আমিও তোমাদের সাথে ছিলাম, কমরেড
আমিও ছিলাম– আগুনের মশাল হাতে
সন্ধ্যারাতে অদ্ভুত সব মিছিলের ব্যর্থ হুঙ্কারে
আমিও ছিলাম রুগ্ন শীর্ণকায় পৃথিবীর একজন
হয়ে! পুঁজিবাদ অমরত্ব লাভ করেছে শুনে
আমি অস্বীকার করে আক্রোশে বলেছিলাম,
তার মৃত্যু হয়েছে; তাই ওরা আমাকে সিজোফ্রেনিক
বলেছিল; গারদে ধরে মারল;
আচ্ছা তুমি কি সত্যি কেঁদেছিলে, নীলিমা;
আচ্ছা তুমি কি পড়েছিলে আমার শেষ লেখাটা?
তোমাকে নিয়ে লিখেছিলাম, আমি নিশ্চিত তুমি
পড়েছো লুকিয়ে লুকিয়ে ও-পাড়া থেকে;
আমার কবিতার শেষ বিকেল যেখানে অন্ধকারে হারাল–
তুমি ছাড়া আমার কবিতা আর কেউ তো পড়ে না!


১৫ টা লাইক দিয়ে যুদ্ধের বাজারে একটা সিগারেটও
পাওয়া যায় না, তাই আমি আর কবিতা লিখব না।


তবুও কেউ কেউ পড়েছিল মনে হয়;
কেউ কেউ পড়বে
ঝড়ো সন্ধ্যার আঁধারে বিজলীর আলোয়।
হয়তো। হয়তো না।
আমার কিছু আসে যায় না।
তবে খুব ভালোবেসে গেঁথেছি প্রিয় অক্ষরমালা!
জল আর আগুনের স্রোতে ভাসা প্রিয় অক্ষরমালা!


২৮/০২/২০২৩